শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

ঢাকা ইপিজেডে ঝুট দিয়ে বয়লার ব্যবহার-সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

 

হেলাল শেখ-ঢাকাঃ

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার ডিইপিজেড পুরাতন জোনে অবস্থিত সাউথ চায়না ব্লেসিং এন্ড ডাইং বিডি

নামক কারখানার বয়লার চালাতে জালানি হিসেবে গ্যাস ও ফার্নেস ওয়েলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ঝুট।

জানা গেছে, ঝুট পুড়িয়ে বয়লার চালানোর ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। এতে প্রতি মাসে

প্রায় ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে সুত্র জানায়। দেখা যায়, সাউথ চায়না ব্লিসিং ও ডাইং কারখানা

থেকে নির্গত ধোঁয়া বের হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ধোঁয়ার কারণ জানতে গিয়ে চাইলে কেউ কথা বলতে রাজি

হয়নি। কারখানার লোকজন বয়লার চালাচ্ছে শত শত বেল ঝুট দিয়ে। বেপজার নিয়ম অনুযায়ী বয়লারটির জালানি

হিসেবে গ্যাস অথবা ফার্নেস অয়েল ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। যা দেশের বাজার থেকে ক্রয় করতে হবে।

সুত্র জানায়, বয়লারটি চালাতে যে ঝুট ব্যবহার করা হচ্ছে তা ইপিজেডের ঝুট ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে

ইপিজেডের বাহিরে সুতা,নতুন কার্টন বিদেশে বিক্রি করলে কাস্টমস ও বেপজা থেকে বের হওয়ার সময় সরকারি

ট্যাক্স কাস্টমের মাধ্যমে দিতে হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এ ট্যাক্স থেকে ইপিজেড ও কাস্টমস এর কতিপয় অসাধু

কিছু কর্মকর্তা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পরিকল্পনা করে নিজেদের ফায়দা ও স্বার্থ হাসিলের জন্য ঝুট

পুড়ে বয়লার চালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে।

আশুলিয়ার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে জানায়, ঝুট ব্যবহারের ফলে বয়লার থেকে যে ধোঁয়া রের হয় তা

পার্শবর্তী গ্রাম সুবন্দি ও কাইচাবাড়ি এলাকায় বসবাসরত মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ চরম হুমকিতে।

ডিইপিজেডের ওই কারখানার অনেকের রোগব্যাধি হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে নাম প্রকাশ না করে বয়লার

অপারেটররা জানায়, আমরা পেটের দায়ে চাকরি করি, কারখানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যা করতে বলেন, আমরা তাই

করি। তারা আরো বলেন,নানা রোগের আশঙ্কা জেনেও জীবন বাঁচাতে এ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি।

কাস্টমস সুত্র জানায়, কোনো কারখানাই ঝুট পোড়াতে পারবে না। সাউথ চায়না ফ্যাক্টরির জিএম সোবায়েত

হোসেনের সাথে সাংবািিদক পরিচয়ে জানতে চাইলে, তিনি অস্বীকার করে বলেন, কোনো ঝুট পোড়াই না

বা ঝুট পুড়ে বয়লার চালাই না। এটি পরিচালিত হয় শুধুমাত্র গার্বেজ পুড়ে, যা কোনো কাজে লাগে না। এটা

একটি নতুন পদ্ধতি। বেপজা সংশ্লিষ্টরা জানান, সাউথ চায়না কারখানাটিতে শুধু নয় কোনো বয়লার চালাতে

ঝুট পেড়ানোর নিয়ম নেই। তবে কেউ পরিবেশ দূষণ করলে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর বেপজা আইন অনুযায়ী

ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451