শেখ হুমায়ুন হক্কানী গাইবান্ধা থেকে : গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার
সিংড়িয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশে মাটির বদলে বালু
দিয়ে নির্মাণকাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখানে শ্রমিক দিয়ে
কাজ করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে একদিকে যেমন শ্রমজীবি
মানুষরা কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অপরদিকে পানির চাপে বাঁধটি আবারও
ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় সুত্র জানায়, ২০১৬
সালের আগষ্ট মাসে বন্যার পানির চাপে ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া বন্যা
নিয়ন্ত্রন বাঁধের ১৮০ মিটার অংশ ভেঙ্গে যায়। চলতি বছরের গত ১০ এপ্রিল
ভেঙ্গে যাওয়া অংশ সংস্কার কাজ শুরু হয়। আগামী জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ
হবার কথা। এই কাজে ব্যয় ধরা হয় এক কোটি ৬৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮৮ টাকা।
কাজের দায়িত্ব পান ফেনী জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান
ইঞ্জিনিয়ারিং। ব্রক্ষপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রকল্পের আওতায় এটি
বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, বাঁধ সংস্কার কাজে শতকরা ৩০ ভাগ কাঁদামাটি,
শতকরা ৪০ ভাগ পলি এবং শতকরা ৩০ ভাগ বালু দিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া অংশ ভরাট
করার কথা। শুধু তাই নয়, ভরাট করতে হবে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে। এ
ছাড়া বাঁধটি মজবুত করতে ভেঙ্গে যাওয়া অংশ ভরাট করার পর দুইপাশেই
স্যান্ড সিমেন্টের বস্তা দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার সিংড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দেখা গেছে, কোনো
শ্রমিক নেই। দুইটি স্কাভেটর মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু কাটা হচ্ছে।
সেই বালু একটি চেইনড্রোজার মেশিন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অংশে ফেলা
হচ্ছে।