বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

পলাতক আসামিদের জামিনদাররা ফেঁসে যাচ্ছেন

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
  • ২২৫ বার পড়া হয়েছে

কোর্ট রিপোর্টার, ঢাকা :
জঙ্গি, শীর্ষসন্ত্রাসীসহ বড় ধরনের মামলায় পলাতক আসামির জামিনদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেওয়ার নির্দেশনা এসেছে আদালতে।
আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার সিএমএম, সিজেএম, জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা
জজ, বিশেষ জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালকে এ বিষয়ে
নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
জামিনে মুক্ত হয়ে আতœগোপনে চলে যাওয়া আসামিদের জামিনদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয়
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের বিধান থাকলেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনদিন এইহার সম্প্রতি বেড়েই
চলেছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রাণালয় বৈঠক করে সারা দেশের নি¤œ আদালতে জঙ্গি
ও শীর্ষসন্ত্রাসীসহ বড় মামলায় পলাতক আসামির জামিনদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত
হয়। সে অনুযায়ী আদালত গুলোতে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছক ঢাকা সিএমএম আদালতের এক বিচারক বলেন, আমরা মৌখিক
নির্দেশনা পেয়েছি। সে অনুযায়ী বড় ধরনের যে সব মামলার আসামী জামিনে গিয়ে পলাতক
হয়েছে, তাদের জামিনদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
মূলত কোন আসামির জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর আদালত জামিনদার ও মুচলেকার টাকার পরিমাণ
নির্ধারণ করে দেন। সে অনুযায়ী আদালতের বিধি মোতাবেক জামিননামা দাখিল করলেই
সংশ্লিষ্ট আসামি জামিন পান বা কারামুক্তি ঘটে। সাধারণত পরিচিত কাছের কোন ব্যক্তির
এবং নিযুক্তীয় আইনজীবীকে জামিনদার এবং হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত বন্ডের পরিমাণ
নির্ধারণ করেদেন আদালত। অবশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে বন্ডের টাকা পাঁচ (৫) থেকে দশ (১০) হাজারই
নির্ধারণ হতে দেখাযায়।
ফৌজদারি কার্যবিধি আইনেরে ৫১৪ ধারায় বলা হয়েছে, আসামি জামিনে পলাতক হলে
জামিনদারকে জামিননামায় উল্লেখিত টাকা কেন পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হবেনা এই মর্মে
কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেবেন আদালত। যদি জামিনদার পর্যাপ্ত কারণ দর্শাতে না পারেন এবং
বন্ডের টাকা প্রদান না করেন, তবে আদালত তার অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রির মাধ্যমে তা আদায়
করতে পারবেন। এর মাধ্যমেও বন্ডের অর্থ আদায় করা না গেলে, জামিনদারকে ছয় মাস পর্যন্ত
দেওয়ানী কারাবাসের আদেশ দিতে পারবেন আদালত।
কিন্তু ঢাকার আদালত গুলোতে বিভিন্ন মামলায় হাজার হাজার আসামি পলাতক থাকল্ধেসঢ়;ও আইনের এ
ধারা কোন জামিনদারের বিরুদ্ধেই প্রয়োগ করা হয়নি। এমনকি ঢাকার বাইরের ম্যাজিস্ট্রেট ও
জেলা জজ ও দায়রা জজ এর অধিকাংশ আদালতেও এর প্রয়োগ নেই বলে জানা গেছে। আর এক্ষেত্রে

বিচারপ্রার্থী (ভিকটিম) বিচারের বিষয়ে যেমন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, তেমনই রায় পেলেও
মনের তৃষ্ণা মেটেনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451