কোর্ট রিপোর্টার, ঢাকা :
জঙ্গি, শীর্ষসন্ত্রাসীসহ বড় ধরনের মামলায় পলাতক আসামির জামিনদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেওয়ার নির্দেশনা এসেছে আদালতে।
আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার সিএমএম, সিজেএম, জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা
জজ, বিশেষ জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালকে এ বিষয়ে
নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
জামিনে মুক্ত হয়ে আতœগোপনে চলে যাওয়া আসামিদের জামিনদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয়
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের বিধান থাকলেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনদিন এইহার সম্প্রতি বেড়েই
চলেছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রাণালয় বৈঠক করে সারা দেশের নি¤œ আদালতে জঙ্গি
ও শীর্ষসন্ত্রাসীসহ বড় মামলায় পলাতক আসামির জামিনদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত
হয়। সে অনুযায়ী আদালত গুলোতে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছক ঢাকা সিএমএম আদালতের এক বিচারক বলেন, আমরা মৌখিক
নির্দেশনা পেয়েছি। সে অনুযায়ী বড় ধরনের যে সব মামলার আসামী জামিনে গিয়ে পলাতক
হয়েছে, তাদের জামিনদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
মূলত কোন আসামির জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর আদালত জামিনদার ও মুচলেকার টাকার পরিমাণ
নির্ধারণ করে দেন। সে অনুযায়ী আদালতের বিধি মোতাবেক জামিননামা দাখিল করলেই
সংশ্লিষ্ট আসামি জামিন পান বা কারামুক্তি ঘটে। সাধারণত পরিচিত কাছের কোন ব্যক্তির
এবং নিযুক্তীয় আইনজীবীকে জামিনদার এবং হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত বন্ডের পরিমাণ
নির্ধারণ করেদেন আদালত। অবশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে বন্ডের টাকা পাঁচ (৫) থেকে দশ (১০) হাজারই
নির্ধারণ হতে দেখাযায়।
ফৌজদারি কার্যবিধি আইনেরে ৫১৪ ধারায় বলা হয়েছে, আসামি জামিনে পলাতক হলে
জামিনদারকে জামিননামায় উল্লেখিত টাকা কেন পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হবেনা এই মর্মে
কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেবেন আদালত। যদি জামিনদার পর্যাপ্ত কারণ দর্শাতে না পারেন এবং
বন্ডের টাকা প্রদান না করেন, তবে আদালত তার অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রির মাধ্যমে তা আদায়
করতে পারবেন। এর মাধ্যমেও বন্ডের অর্থ আদায় করা না গেলে, জামিনদারকে ছয় মাস পর্যন্ত
দেওয়ানী কারাবাসের আদেশ দিতে পারবেন আদালত।
কিন্তু ঢাকার আদালত গুলোতে বিভিন্ন মামলায় হাজার হাজার আসামি পলাতক থাকল্ধেসঢ়;ও আইনের এ
ধারা কোন জামিনদারের বিরুদ্ধেই প্রয়োগ করা হয়নি। এমনকি ঢাকার বাইরের ম্যাজিস্ট্রেট ও
জেলা জজ ও দায়রা জজ এর অধিকাংশ আদালতেও এর প্রয়োগ নেই বলে জানা গেছে। আর এক্ষেত্রে
বিচারপ্রার্থী (ভিকটিম) বিচারের বিষয়ে যেমন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, তেমনই রায় পেলেও
মনের তৃষ্ণা মেটেনা।