শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা, ফিরুজা বেগমের দিন কাটে স্বজনদের কবর পানে চেয়ে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৮
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

 

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
ফিরুজা বেগম এক দুখিনী মা” তারও ছিল সুন্দর একটি সাজানো
গোছানো সংসার। স্বামী শরাফত আলী ছিলেন শ্রীপুর বিআরডিবির
একজন পরিদর্শক। সংসারের সচ্ছলতা আনতে একসময় স্বল্প বেতনের
চাকুরী ছেড়ে ব্যবসায় মন দেন শরাফত আলী। সময়ের বিবর্তনে তাঁদের
বসবাসের এলাকাটি শিল্পায়নে পরিনত হলে দ্রুতই পরিবারটি ভালো
একটি অবস্থানে চলে যায়। ফিরুজা- শরাফত দম্পতির একমাত্র সন্তান
ছিলেন ফারুক হোসাইন প্রিয়ক।
কিন্তু সবার কপালে যে বিধাতা সুখ চিরস্থায়ী রাখেন না তাঁর উজ্জলতম
নিদর্শন শ্রীপুরের এই ফিরুজা বেগম। ২০১২ সালেই শরাফত আলী
অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়ে কোন লাভ
হয়নি।এর এক বছর পর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শরাফত আলী মারা যান। আর
এখান থেকেই ফিরুজার কষ্টের শুরু। সচ্ছল সংসারেও স্বজন হারানোর অভার
যে অপূরনীয় তা উপলব্দি করতে শুরু করেন এই ফিরুজা বেগম।
এবার ছেলে ফারুক হোসাইন প্রিয়ককে নিয়ে ঘুরে দাড়ানোর
প্রতিজ্ঞা করলেন ফিরুজা বেগম। ছেলেকে বিয়ে করান, সংসারে চলে
আসে ফুটফুটে আদরের নাতনী প্রিয়ন্ময়ী তামাররা। স্বামী হারানো
বেদনার মধ্যেই আবার সংসারটিতে তৈরী হয় সুখের আবহ। আবারও
বিধাতার হাতের পরশ, এবার কেড়ে নিলেন তাঁর বেঁচে থাকার একমাত্র
অবলম্বন ছেলে ও নাতনীতে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি পরিবারের
বংশবৃদ্ধির পরিসমাপ্তি ঘটালেন। থেমে গেল একটি প্রজন্ম। আর শুধু
বেঁচে রইলেন পরিবারের একমাত্র সদস্য ফিরুজা বেগম। গত ১২ মার্চ
নেপালের বিমান দুর্ঘটনার মধ্য দিয়েই ফিরুজা বেগম একা হয়ে
গেলেন। এর পর থেকেই স্বজনদের কবর পানে চেয়েই দিন অতিবাহিত হচ্ছে
ফিরুজা বেগমের।

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সন্তান ও নাতনীর মৃত্যুর খবর ফিরুজাকে দেয়া
হয় ঘটনার চারদিন পর আর তাঁদের মৃতদেহ বাড়িতে আসে ঘটনার
সাতদিন পর। বিধাতার সিদ্ধান্তের উপর কারো হাত নেই তা উপলব্ধি করেই
ফিরুজা বেগম বুকে পাথর চেপে রয়েছেন। আর কটা দিনই বা
বাঁচবেন,বাকি জীবন স্বজনদের কবর পাণে চেয়ে দিন কাটানোর লক্ষেই
তাদের করব দিয়েছেন বাড়ির আঙিনায়।দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ির
বারান্দায় বসেই সেখান থেকেই কবর পানে চেয়ে থাকেন ফিরুজা
বেগম।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেষা শ্রীপুরের জৈনা
বাজারের বাড়িতে গিয়ে দেখা ও কথা হয় ফিরুজা বেগমের সাথে।
তিনি জানান, তাঁর ছেলে তাকে ছাড়া কখনও থাকতে পারত না,তাঁর
নাতনীও তাকে এক মুহুর্ত না দেখলেই অস্থির হয়ে পড়ত, কিন্তু এখন সবই
অতীত। তাদের স্মৃতিগুলোই বারবার এখন চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে।
তাই প্রতিটি মুহুর্তই তাদের কবরগুলোর দিকে চেয়ে থাকি। এ ছাড়া
যে আমার আর বেঁচে থাকার অবলম্বন নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451