বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শর্ত মেনে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে দুই-তিন বছর সময় লেগে যাবে। তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে একটি শূন্যতা সৃষ্টিই খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্য।
নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আজ শনিবার এ মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
অপর এক প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, রাজনৈতিক দিক থেকে খালেদা জিয়া উত্তম প্রস্তাব দিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, গত বছর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এ জন্য এবার সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
খালেদা জিয়া নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করতে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠনেরও কথা বলেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এনটিভিকে বলেন, বাছাই কমিটির সঙ্গে ঐক্যমত না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাব-এসব কথা বলে যদি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হয় তাহলে দুই-তিন বছর লেগে যাবে। তাই খালেদা জিয়া শর্ত দিয়ে একটা শূন্যতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন বলেও মনে করেন মেনন।
খালেদা জিয়ার প্রস্তাবের অপর এক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দিক থেকে ম্যাডাম জিয়া হয়তো উত্তম প্রস্তাবই দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অতীতে কখনো ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠিত হয়নি। হলে এই জাতিকে এত ঝঞ্ঝাট পোহাতে হতো না।