জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে কাজী রিয়াজুল হক কোন কর্তৃত্ববলে বহাল রয়েছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতেও বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর কাজী রিয়াজুল হকের কমিশনের চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটে বলা হয়, কাজী রিয়াজুল হক এর আগে ২০১০ ও ২০১৩ সালে কমিশনের সদস্য ছিলেন। চলতি বছর ২২ জুন থেকে তিনি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান। অথচ ২০০৭ সালের মানবাধিকার কমিশন আইনের ২(এইচ) ও ৬(৩) ধারা অনুযায়ী দুবারের বেশি নিয়োগ হলে তা অবৈধ।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ২(এইচ) ধারা অনুযায়ী সদস্য অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সদস্য। আর ৬(৩) ধারায় বলা হয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যান প্রতি মেয়াদে তিন বছরের জন্য নিয়োগ হবে, তবে এর বেশি নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
এই পদটিতে আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে উল্লেখ করে রিটে বলা হয়, কমিশন আইনের ৬(২) ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে বিশিষ্ট আইনজ্ঞ হতে হবে। কিন্তু তিনি আইনজীবী বা বিচার বিভাগীয় পদে ছিলেন না। এ পদটি আধা-বিচার বিভাগীয়। ভারতসহ অন্যান্য দেশে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে ওই পদ দেওয়া হয়।
এর আগে ছয় বছর ধরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।