ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নে ঘনিমহেষপুর গ্রামে গৃহবধু
আনোয়ারা বেগমকে কুপিয়ে দুই হাতের রগ ও পায়ের রগ কেটে
ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাঁর সৎ ছেলে হারুন অর
রশিদকে আটক করেছে। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় গৃহবধুকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও
আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের রাজাগাঁও
গ্রামের সাদেকুল ইসলামের সাথে ৮/১০ দিন আগে আনোয়ারার
দ্বিতীয় বিয়ে হয়। শনিবার রাতে সাদেকুল ইসলাম দ্বিতীয় স্ত্রীকে
সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেষপুর গ্রামে নিজের
বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে রবিবার সকালে প্রথম স্ত্রীর
হাসিনা বেগমের ছেলে হারুন অর রশিদ বাড়িতে ঢুকে তাঁর সৎ মা
আনোয়ারা বেগমকে ধারালো ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে
এবং হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্থানীয়রা আনোয়ারাকে উদ্ধার
করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের আবাসিক অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, গৃহবধুর
অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুহিয়া থানার ওসি শাহারিয়ার জানান,
পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সৎ ছেলে হারুন অর
রশিদকে আটক করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।