কক্সবাজার – ৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুর রহমান বদি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর জেলার নাশির আহমেদ জানান, দুর্নীতির মামলায় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ পৌঁছানোর পর যাচাই-বাছাই শেষে রাত পৌনে ৯টার দিকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ গত ১৬ নভেম্বর আব্দুর রহমান বদিকে ছয় মাসের জামিন দেন। পরে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ১৭ নভেম্বর আবেদন করে। সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দুদকের জামিন স্থগিত আবেদনে ‘নো অর্ডার’ বলে আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে এমপি বদির জামিন বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুস সোবহান ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার রমনা থানায় আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ ২০১৫ সালের ৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমদ জমাদার গত ২ নভেম্বর এ মামলার রায়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে আসামি আব্দুর রহমান বদিকে খালাস দেন। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন এমপি বদি। বদির আইনজীবীরা আপিল আবেদন আদালতে উপস্থাপনের সময় জামিন ও অর্থদণ্ডাদেশ মওকুফের আবেদন করেন। শুনানির পর বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বদিকে ছয় মাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন দেন। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়। ওই জামিন স্থগিত চেয়েই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করে দুদক।
অভিযোগপত্রে বদির ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়। বলা হয়, তিনি দুদকের কাছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।