তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সারা পৃথিবী একদিকে নিরাপদ ও সস্তা বিকল্প জ্বালানির দিকে যাচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে ভারত ও চীনের বাতিল প্রযুক্তির ডাস্টবিনে পরিণত করা হচ্ছে। সরকার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রতারণামূলক বক্তব্য অব্যাহত রেখেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক গণসংযোগ কর্মসূচিতে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন।
সুন্দরবনের পাশে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে আগামী ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চলছে গণসংযোগ কর্মসূচি।
জাতীয় কমিটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় জাদুঘর থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত আজ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সুন্দরবন বিনাশী রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে গোটা জাতি আজ একতাবদ্ধ। সরকার এই গণজোয়ার ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ সম্মিলিতভাবে এই তৎপরতা রুখবে।’ তিনি দেশবাসীর প্রতি ২৬ নভেম্বর তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মহাসমাবেশে উপস্থিত হয়ে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনতার রায় জানিয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
ইউনাউটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা তৈমুর খান অপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা মহানগরের নেতা সিকান্দার হায়াত, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা জুলফিকার আলী, গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা নগর সমন্বয়ক মনিরুদ্দীন পাপ্পু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, জাতীয় গণফ্রন্টের নেতা মণীষা প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হয়। এটি কাটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড প্রদক্ষিণ করে নিউমার্কেট অঞ্চলে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রা থেকে কর্মীরা স্থানীয় জনসাধারণ, পথচারী, শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে জাতীয় কমিটির প্রচারপত্র পৌঁছে দেন এবং ২৬ নভেম্বর শহীদ মিনারে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান।