গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের ইক্ষু খামারের সাঁওতালদের
উপর হামলা, মামলা, লুটপাট, বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ ও ন্যায্য বিচারের
দাবিতে সোমবার গাইবান্ধা জেলা শহরের ডিবি রোড আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে
মুখে কালো কাপড় বেঁধে সমাবেশ ও মানববন্ধনের কর্মসূচী পালিত হয়। জাতীয় আদিবাসী
পরিষদ, জনউদ্যোগ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, ছাত্র ইউনিয়ন যৌথভাবে এই
কর্মসূচীর আয়োজন করে।
এদিকে মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা সাঁওতালদের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোবিন্দগঞ্জের
সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল
আউয়াল, সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, কাটাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান
রেজাউল করিম রফিকসহ তাদের সহযোগিদের গ্রেফতার দাবি করেন। এছাড়া তারা
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হান্নান ও থানার অফিসার ইনচার্জ
সুব্রত কুমার সরকারের অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
পরে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় আগামী ঘটনার এক মাস পূর্তি উপলক্ষে
সারাদেশে শহীদ মিনারের ৬ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে
প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হবে। মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদী গণ সংগীত পরিবেশন
করেন চুনি ইসলাম।
গোবিন্দগঞ্জ সাঁওতাল পলী ও ঘোড়াঘাট থেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাস নিয়ে
আসার পথে গোবিন্দগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট এলাকায় পুলিশ আদিবাসী সাঁওতালদের বাঁধা
প্রদান করে এবং তাদের হুমকি প্রদান করা হয়। পুলিশের বাঁধা এড়িয়েও মটর সাইকেল ও অন্যান্য
যানবাহনে গাইবান্ধায় এসে অনেক আদিবাসী এই কর্মসূচিতে যোগদান করেন। তাদের
অভিযোগে এই তথ্য জানা গেছে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাবেক সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল,
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর জেলা সভাপতি জহুরুল কাইয়ুম, জেএসডির জেলা সভাপতি
লাসেন খান রিন্টু, বাসদ জেলা সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা
সভাপতি রেবতী বর্মণ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জেলা সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ, জনউদ্যোগের
সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্ত্তী, আদিবাসী নেতা নরেন বাসকে, দলিত জনগোষ্ঠীর নেতা
রাজেশ বাসফোর, যুব ইউনিয়নের জেলা সভাপতি প্রতিভা সরকার ববি, সমাজকর্মী কামরুল
হাসান জিলানী, আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সাধারণ সম্পাদক রানু সরকার
প্রমুখ।