নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর এক সংখ্যালঘু ছাত্রী উত্ত্যক্তের শিকার
হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রীটি উত্ত্যক্তের শিকার হয়। উত্ত্যক্তকারীর নাম নাজমুল হক। সে একই
প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
জানা গেছে, বুধবার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে স্কুলের পেছন ফটকের প্রধান সড়কে মেয়েটি পৌঁছামাত্রই নাজমুল হক প্রথমে
ছাত্রীটির ওড়না ধরে টান দেয়। কষ্টে সেটা সংবরণ করতে পারলেও পরে তার হাত ধরে টানাহেঁচড়া করা হয়। মেয়েটির বাবা বিষয়টি
দেখলেও ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। পরে মুক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তির সহায়তায় বখাটে নাজমুলকে ধরে উত্তম-মধ্যম
দিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) মোবারক হোসেন বলেন, এটা যৌন হয়রানির ঘটনা হলেও নাজমুলের বয়স না হওয়ায় তাকে
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া যায়নি। তবে নিয়মিত মামলা নেয়ার জন্য গুরুদাসপুর থানার ওসিকে সুপারিশ করা হয়েছে।
নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলেও ওই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বলেন, অভিযুক্ত নাজমুল বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।