মোটরসাইকেল আরোহীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
পেতে মাথায় হেলমেট ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু জীবন
বাঁচাতে বাধ্য হয়ে হেলমেট মাথায় দিয়ে অফিস করছেন
বাগেরহাটে জরাজীর্ণ জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর আগে ২৮ নভেম্বর সকালে অফিসের কম্পিউটার
অপারেটর সামছুল আরেফিনের বসার চেয়ারের উপর ছাদের
কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। ভাগ্যক্রমে সামছুল আরেফিন তখন
তার চেয়ারে ছিলেন না। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ
কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় জীবন বাঁচাতে অনেকটা
বাধ্য হয়েই হেলমেট মাথায় দিয়ে অফিস করছেন তারা।
এ বিষয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ছেড়ে তারা অন্যত্র ভাড়া
অফিস নেয়ার জন্য জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত
অভিযোগ করেছেন।
বাগেরহাট আদালত ভবনটি গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক
ব্যবহারের পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও নতুন ভবনের জন্য জমি
বরাদ্দ বা নিজস্ব কোনো ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে ১৯৯৭
সালে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনেই অফিসের কাজ করে
যাচ্ছেন জেলা রেজিস্ট্রার। ২৩ জুন ২০১৪ সালে মহা-
পরিদর্শক নিবন্ধন জেলা রেজিস্ট্রার বরাবরে জেলা রেজিস্ট্রার
অফিস ও সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভাড়াটিয়া বাড়িতে
স্থানান্তর অনুমতি প্রদান করলেও আজ পর্যন্ত ভাড়াটিয়া
বাড়িতে অফিস স্থনান্তর করা হয়নি।
জেলা রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল হক প্রধান বলেন, ‘অফিসের
জন্য যে রকম বাড়ি প্রয়োজন সে রকম বাড়ি না পাওয়ার
কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটিতে বাধ্য হয়ে কাজ করতে
হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা নকলনবিস এসোসিয়েশনের সভাপতি
তপন কুমার দাস বলেন, ‘অফিস সহকারী সামছুল
আরেফিনের বসার স্থানে ছাদ ভেঙে পড়লেও বিষয়টি
কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি। প্রতিদিনই ছাদ থেকে বালু,
খোয়া ঝড়ে পরে কাজ করার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। চাকরি করতে
এসে জীবনত আর দিতে পারব না। তাই হেলমেট মাথায়
দিয়ে কাজ করছি।’
জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান সহকারী মো. ইবাদ আলী
শেখ বলেন, ‘জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কাজ করতে
গেলে দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু হলে তার দায়িত্ব কে
নিবে। তাই জীবন বাঁচাতে আমরা হেলমেট মাথায় দিয়ে
কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ইতি মধ্যেই আমিসহ অফিসের
সবাই স্বাক্ষর করে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর বিষয়টি লিখিত
ভাবে জানিয়েছি। আমরা সবাই আশা করছি বিষয়টি
তিনি দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’