স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
শেখপাড়া ডি.এম.ডিগ্রী কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী ‘২০১৬’ এর
্#৩৯;মানবিক বিভাগের’ ছাত্রী মোছাঃ আসমা খাতুন (১৮) নামে এক
শিক্ষার্থী আতœহত্যা করেছে। গত ১৭ জুন সন্ধ্যা ৫ টা ৩০ মিনিটে
আসমা মারা যায়।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি
দিতে না পারায় আসমা খাতুন (১৯) নামে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী
আত্মহত্যা করে, তার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া-মহাসড়কে অবস্থান
কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা ।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কলেজে ভুগোল বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি
ধার্য্য করা হয় ৪০০ টাকা করে, বসন্তপুরের আনসার আলীর মেয়ে আসমা
খাতুন ৩০০ টাকা দিতে চায় কিন্তু হাফিজুর রহমান নামে ভুগোল বিভাগের
প্রভাষক, টাকা কম না নিয়ে, নাম্বার কম দেয়ার হুমকি দেয়।
বাধ্য হয়ে হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে আসমা ভয়ে আত্মহত্যা করে।
শিক্ষার্থিরা আরো অভিযোগ করেন, কলেজে নতুন নতুন বৈষম্য তৈরী
করছে, ভর্তি ফি বেশী নেওয়া হচ্ছে, ফরম ফ্লাবের ফি বেশী নেয়া হয়, গরীব
ছাত্রদের পড়ালেখার কোন পরিবেশ নায়।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার ১ নং ত্রিবেণী ইউনিয়নের বসন্তপুর পূর্বপাড়া
গ্রামের আনসার মোল্লার ২ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে আসমা
খাতুন শেখপাড়া ডি.এম.ডিগ্রী কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী
‘২০১৬’ এর ‘মানবিক’ বিভাগের ছাত্রী ছিল।
আসমা খাতুনের পিতা মাতা ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, আসমা খাতুন
ফরম ফিলাপের সময় সকল প্রকার ফি পরিশোধ করার পরও ব্যবহারিক পরিক্ষার জন্য
বাড়তি ফি আদায় করেছেন কলেজের ভুগোল বিষয়ের শিক্ষক মোঃ হাফিজ সহ
কৃষিশিক্ষা, গাহ্রস্থ বিঙ্গান সহ প্রভৃতি ঐচ্ছিক বিষয়ের শিক্ষক মহোদয়।
দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণকারী আসমা টাকা যোগাড় করতে না পারায়
শিক্ষদের স্বরণাপন্ন হয় এবং শিক্ষকদেরকে বিষয়টি অবহিত করে।
কিন্তুু শিক্ষকরা তাকে কটুক্তি এবং উপহাস করে। আসমা খাতুন কটুক্তি
সইতে না পেরে ১৬ জুন বাড়ি ফিরে আসে এবং তার নিজের থাকা পৃথক
ঘরে ১০.৩০ টার দিকে বিষ খায়। আসমার বড় ভাবি দীর্ঘ সময় আসমার
কথাবার্তা বন্ধ থাকার কারনে সন্দেহ হলে ঘর খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে
দেখে মেয়ে আসমা খাতুন বিষ খেয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।
পরে মেয়ে আসমাকে উদ্ধার করে অটোভ্যানে শেখপাড়ার সোনালী ডেন্টালের
ডাঃ মোঃ বশির উয়াশ করার পরে অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেলে
নিয়ে ভর্তি করার পরের দিনে মৃত্যু হয় ।
উল্লেখ্য: এই সংবাদ প্রকাশিত হলে শেখপাড়া ডি.এম.ডিগ্রী কলেজের
ভুগোল বিষয়ের শিক্ষক মোঃ হাফিজ সহ কৃষিশিক্ষা, গাহ্রস্থ বিঙ্গান সহ
প্রভৃতি ঐচ্ছিক বিষয়ের অপরাধী শিক্ষক মহোদয়ের চাকুরি চলে যাওয়ার ভয়ে
শৈলকুপার স্থানীয় সাংবাদিকদের টাকা পয়সা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে আরো জানা গেছে, আসমার পিতা আনসার
মোল্লা শেখপাড়া ডি.এম.ডিগ্রী কলেজের ব্যবহারিক পরিক্ষার ও প্রভৃতি
ঐচ্ছিক বিষয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শেষে মামলা করবেন বলে
প্রস্তুত হলে, শেখপাড়ার প্রভাবশালী আওয়ামিলীগের কেডারদের বিভিন্ন
চাপে আসমা খাতুনের পিতা আনসার মোল্লাকে সংবাদ প্রকাশ করতে
নিষেধ করে যার কারনে আসমার মৃত্যুর সংবাদটি ধামাচাপা পড়ে যায়।
অভিযুক্ত প্রভাষক হাফিজুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে
সংযোগ পাওয়া যায়নি।