নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার বিষয়ে বিশ্বনেতাদের আরো সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তবে এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা ও সদস্যদের নিহতের ঘটনার নিন্দা জানান।
এই ধরনের ঘটনা ‘কাদের জন্য হচ্ছে এবং কারা করছে’ এ ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সচেতন হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখানে এ ব্যাপারে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আরো একটু সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল।’
মিয়ানমারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় যারা জড়িত, তারা কেউ যদি বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েও থাকে তাদের ধরে মিয়ানমারের কাছে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ও তাদের আশ্রয়ের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী সজাগ রয়েছে, দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ যখন একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন, তখন তাদের আর আশ্রয় না দিয়ে উপায় থাকে না। এটাই বাস্তবতা।’
তবে এ ঘটনার মূল উৎসের দিকেও নজর দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রথমে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা চালানো হলো। তাদের নয়জন বিজিপিকে হত্যা করা হলো। সেখানে ১০০ আর্মি গেল তাদের ওপরও হামলা হলো। এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। দোষ দিতে হলে যারা প্রথমে সূত্রপাতটা করেছিল, তাদের ব্যাপারে আরো চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। তারা কোথায় আছে, তাদের ধরিয়ে দেওয়া উচিত। তাদের কারণেই হাজার হাজার নারী-পুরুষ কষ্ট পাচ্ছে। সামান্য কয়েকটা মানুষের জন্য হাজার হাজার নারী-শিশু মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এটাই দুঃখজনক