বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

মহেশপুরে শীতের সবজি ভাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাঁসি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ২৩০ বার পড়া হয়েছে

মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, ঝিনাইদহ মহেশপুর থেকে:

মহেশপুর উপজেলায় সকাল হলেই গ্রামের প্রতিটি হাট-বাজারে পাইকারি ও

খুচরা দামে শীতের সবজি ক্রয় বিক্রয় চলছে। নসিমন, করিমন ও ভ্যানে এসব

সব্জি বাজারে আসছে। বেচাকেনাও ভালো। ফলে লাভের মুখ দেখছেন এলাকার

চাষীরা । ধানসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে একের পর এক লোকসান গুনে এবার

শীতের সব্জিতে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলার পৌরসভা সহ ১নং এসবিকে, ফতেপুর, পান্তাপাড়, স্বরুপুর,

শ্যামকুড়, নেপা, কাজীরবেড়, বাঁশবাড়ীয়া, যাদবপুর, নাটিমা, মান্দারতলা,

আদমপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে ব্যাপক সব্জি চাষ করা হয়েছে। উপজেলার

ভালাইপুর, সুন্দরপুর, গাড়াবাড়িয়া, বাথানগাছী, সাড়াতলা, নস্তী প্রভৃতি

এলাকায় দিনরাত সব্জির নিয়মিত পরিচর্যা করছেন কৃষকরা। কেউ কেউ

পোকামাকড় দমনে কেউবা কৃষি লোক লাগিয়ে সব্জির পরিচর্যা করছেন। ১

নং এসবিকে এলাকার চাষী নাজু সরদার,খোকন, ইয়াদুল বলেন, কয়েক বছর ধরে

ধান চাষে আমরা কৃষকরা ভালো দাম না পাওয়ায় শীতের সব্জি চাষ করে দুটো

টাকার মুখ দেখছি। আমরা এই এলাকার কৃষকরা আগাম শীতকালীন সব্জি

চাষ করে স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।

লাল শাক, পালন শাক, শিম, টমেটো, বেগুন, লাউ, শশা, চিচিঙ্গা, পটল, ঢেড়স,

কাচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, বাঁধা কপি, ফুলকপি, ধনে পাতা, মুলা,

করলা, ডাটা প্রভৃতি সব্জিতে ভরে গেছে পুরো এলাকা। মহেশপুর

খালিশপুরের পাইকারী বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি শিম ৫০ টাকা,

বাধা কপি ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, কাচা মরিচ ৫০ টাকা, ধনে পাতা

১৫০ টাকা, পালন শাক ২৫ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, মুলা শাক ১০ ও মুলা ২০

টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানকার পাইকারী বাজার থেকে কিনে খুচরা

দোকানীরা ৫- ১০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে লাভ করে থাকে। অথচ পাইকারী

বাজার থেকে খুচরা দোকানীদের দুরত্ব মাত্র ২০০ গজ। এছাড়া এই বাজার

থেকে পাইকারীরা শীতের সব্জি কিনে ট্রাক যোগে ঢাকা সহ দেশের

বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।

খালিশপুর বাজারের পাইকারী আড়তদার সেলিম জানান, চাষীরা সরাসরি এই

বাজারে উৎপাদিত পন্য বিক্রয় করতে পারে না। তারা সব্জি প্রথমে পাইকারী

বাজারে নিয়ে আসেন, তারপর চাষীর সব্জি কিনে অথবা বিক্রি করে দেন।

বিনিময়ে আড়তদাররা পন্য অনুযায়ী কমিশন ৫০ থেকে সবোর্চ্চ ১৫০

টাকা কৃষকের গুনতে হয়।

মহেশপুর উপজেলায় বেশির ভাগ জমি উচু ও সমতল যা সব্জি চাষের জন্য

উপযোগী। ধান ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করে কৃষকরা ভাগ্য বদলাতে পারেনি ।

ফলে চলতি মৌসুমে সব্জি চাষ করা হয়েছে। এতে চাষীরা লাভবান হচ্ছেন এবং

ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451