চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন রেললাইনে দুর্ঘটনা ঝুঁকি এড়াতে হাতিসহ বন্যপ্রাণী পারাপারে ১২টি ওভারপাস নির্মাণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৮ হাজার কোটি টাকার রেললাইন স্থাপনের আগে গবেষণার মাধ্যমে হাতি চলাচলের পথগুলোকে চিহ্নিত করার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আর এসব ওভারপাসই বন্যপ্রাণী চলাচল নিরাপদ করার ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে এ ধরনের প্রথম পদক্ষেপ।
অবশেষে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ। ১৪ ডিসেম্বর টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ তারিখ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মার্চ থেকে পুরোদমে শুরু হবে পাহাড় এবং বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে রেললাইন স্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু এ রেলপথ স্থাপনে বর্তমানে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে হাতিসহ বন্যপ্রাণী চলাচলে প্রতিবন্ধকতা।
গবেষকদের মতে, বিলুপ্ত প্রায় এশিয়া প্রজাতির হাতির মূল অবস্থান বৃহত্তর চট্টগ্রামে। এর মধ্যে লোহাগাড়া চুনতি রেঞ্জ হয়ে কক্সবাজারের রামু এবং টেকনাফের ঘুমধুম পর্যন্ত গহীন পাহাড় বনে রয়েছে এসব হাতির বসবাস।
আর রেলপথে বন্যপ্রাণীর চলাচল নিরাপদ করতে অন্তত ১২টি ওভারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
১’শ ২০ কিলোমিটার রেলপথে কক্সবাজারে প্রধান স্টেশন স্থাপনের পাশাপাশি রামু, ঈদগাঁ, চকরিয়া, লোহাগাড়ায় আরো নয়টি স্টেশন থাকবে। ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।