নোয়াখালী : পারিবারিক কলহের জের ধরে নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্বামীর সাথে অভিমান করে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন
ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে কামরুন নাহার নিপা (১৭) নামে এক গৃহবধু। এ
সময় দুগ্ধ কামরুন নাহারকে বাঁচাতে গিয়ে তার শ^শুর দেলোয়ার হোসেন (৬০) ও তার
ভাসুরের স্ত্রী রুমা আক্তার (২৫) ও দগ্ধ হয়। পরে স্থাণীয়রা তাদেরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। বুধবার
বিকালে ওই উপজেলার পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আহতরা জানান, সদর
উপজেলার পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মহসিনের সাথে গত ৬
মাস আগে কামরুন নাহার নিপার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে বিভিন্ন
বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলোহ দেখা দেয়। এনিয়ে বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রথমে
কথা কাটাকাটি পরে ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে স্বামীর ওপর অভিমান করে কামরুন
নাহার নিপা বিকেলে শ্বশুরালয়ে নিজ শরীরে কোরোসীন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময়
তার চিৎকার শুনে জাল রুমা আক্তার ও শ^শুর দেলোয়ার হোসেন আগুন নিভাতে আনে। এ সময়
তারাও অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে বুধবার সন্ধ্যায়
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে
রাতে নিপা ও তার জাল রুমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ফরিদ
উদ্দিন চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই নারী ও একজন বয়ষ্ক পুরুষ বুধবার সন্ধ্যায়
হাসপাতলে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে কামরুন নাহার নিপা ও তার জাল রুমা আক্তারের
শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ণ
ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে। সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।