তালার প্রকৃতিতে চলে এসেছে শীত। তীব্রতা বাড়েনি,পড়েনি ঘন
কূয়াশার চাদরও। কৃষাণ-কৃষাণীরা ব্যস্ত নবান্নের ধান কর্তনে। পুরোদমে
উঠে গেছে শীতকালীন সব্জী। প্রান্তর জুঁড়ে উঁকি দিচ্ছে সরিষার
গাছ,কোথাও কোথাও হলুদের সমারোহ ঘটেছে সরিষার ক্ষেতে। কৃষি
অধিদপ্তর বলছে,আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ থাকায় ধানের পাশাপাশি কৃষকরা
এবার বাম্পার ফলন পাবে সরিষাতেও। তাদের তথ্যমতে উপজেলায় এবার সরিষা
আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪শত হেক্টর জমিতে। পরিবেশের এমন অবস্থায়
লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই জানালেন কৃষি অফিস।
কৃষিসম্প্রসরণ অধিদপ্তর জানায়,সাতক্ষীরা তালার ১২টি ইউনিয়নে এবার
৪শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখান
থেকে উৎপাদন হবে প্রায় ৫শত মেট্রিক টন সরিষা।
সূত্রমতে তালার অধিকাংশ এলাকায় কৃত্রিম সৃষ্ঠ বন্যায় ধানের ক্ষেত বীজতলা
তলিয়ে থাকায় খানিকটা দেরীতে আবাদ হয়েছে আমনের। সংগত কারণেই ঐ
সকল এলাকার সরিষার ক্ষেত প্রস্তুত করতে তাই কৃষকদের একটু সময় বেশী
লেগেছে। কোথাও কোথাও ক্ষেত প্রস্তুতও হয়নি এখনো। গতবারের উৎপাদন ভাল
হওয়ায় এবার কৃষকরাও ঝুকেছেন সরিষার উৎপাদনে। দেশী জাতের পাশাপাশি
তারা আবাদ করেছেন বারী-৬ ও বারী-১৫ জাতের সরিষা।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সামসুল আলম জানান,তারা নিয়মিত
যোগাযোগ রাখছেন কৃষকদের সাথে। যাতে তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণভাবে
অর্জিত হয় তাতে কোন প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি যাতে না ঘটে তার জন্য।
বিশেষ করে পরামর্শ দিচ্ছেন,ক্ষেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে সঠিক সময়ে
সঠিক সার-কীটনাশক প্রয়োগ করতে। তার ধারণা কৃষকের নবান্নের
হাঁসি ম্লান হবে না সরিষাতেও। কৃষকদের পাশাপাশি তেমনটাই কাজ করে
যাচ্ছেন তার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এমনটাই জানালেন তিনি।