নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নির্মাণের ৯ মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে
পড়লো ব্রীজ। তবে ব্রীজটি কোন দফতর থেকে নির্মাণ করা
হয়েছে তার কোন সঠিক তথ্য মেলেনি। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো এর দায়
এড়াতে সংবাদকর্মীদের তথ্য সরবরাহ করছেননা। স্থানীয় ইউনিয়ন
পরিষদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় এমনকি স্থানীয়
সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর কেউ এ ব্রীজের দায় নিতে চাননা।
কোন দফতর থেকে এই ব্রীজটি নির্মান করা হয়েছে নির্দিষ্ট করে
তাও জানাতে পারেনি এ সব বিভাগগুলো।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের হাটগোবিন্দপুর
এলাকার জয়বাংলা মোড় থেকে মধ্যপাড়া সড়কে প্রায় নয় মাস
পূর্বে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। গত ৩ ডিসেম্বর শনিবার ওই
সড়কে মাটি ভর্তি এক ট্রাক্টর পারাপারের সময় ব্রীজটি ভেঙ্গে
পড়ে। ৮ দিন অতিবাহিত হলেও কোন দফতর থেকে ব্রীজটি মেরামতের
উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে যান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। স্থানীয়
কয়েকজন যুবক দূর্ঘটনা এড়াতে সেখানে কলাগাছ দিয়ে
নিশান টানিয়েছেন। দ্রুত ব্রীজটি মেরামতের দাবি
জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ব্রীজটির বিষয়ে দয়ারামপুর ইউপি সচিব অণূপ চক্রবর্তী জানান,
ব্রীজ ভাঙ্গার একদিন পর রোববার তিনি জানতে পেরেছেন। কারা
ব্রীজটি নির্মান করেছে তিনি তা জানেন না। তিনি শুনেছেন
ব্রীজটি উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে
২০১৪-১৫ অর্থ বছরে কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত
হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা
আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে যোগাযোগের
চেষ্টা করা হলে তিনি এ সম্পর্কে পরে জানাবেন জানিয়ে ফোন
কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে ওই দিন বিকেলে এলজিইডি দফতরের উপসহকারী
প্রকৌশলী আলম মিয়া জানান, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান
প্রশিক্ষণে আছেন। তবে ওই রাস্তাটি তাদের দফতরের নয়। প্রকল্প
অফিস করতে পারে বলে তিনি জানান।