শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

সবুজ-সোনালীর মাঝে ফুটে উঠেছে কৃষকের হাসি পাইকগাছায় আমনের বাম্পার ফলন

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

 

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা :

পাইকগাছায় আমনের বাম্পার ফলন হলেও আবাদ হয়েছে লক্ষমাত্রার চেয়ে কম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে আমন

আবাদের লক্ষমাত্রার স্থলে আবাদ হয় ১৬ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ৪৮০

হেক্টর জমিতে চাষ হয়নি আমন। অতিবর্ষণে বিজতলা নষ্ট ও পানি নিষ্কাসন জনিত

সমস্যার কারণে আমন চাষের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে

উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ। এদিকে মৌসুমের শেষের দিকে শুরু হয়েছে

আমন ধান কর্তন। ইতোমধ্যে, ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে বলে

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে।

সূত্রমতে, উপজেলায় মোট কৃষি জমি রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর। মোট

কৃষি জমির মধ্যে চলতি আমন মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১৬ হাজার

৯৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে। যার মধ্যে উফশি উচ্চ

ফলনশীল ১৫ হাজার ৪৮০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর। লক্ষমাত্রা

অনুযায়ী উফশি উচ্চ ফলনশীল আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ২৫০ হেক্টর ও স্থানীয় ১ হাজার

২০০ হেক্টর। আবাদকৃত ধানের মধ্যে রয়েছে, বিনা- ৭, ব্রী ধান- ২৮, ৩০, ৩৩, ৩৯,

৪৯, ৫৭ ও ৬২, বিআর- ১০, ১১ ও ২৩। এদিকে মৌসুমের শুরুতেই অতিবর্ষণে বীজতলা

নষ্ট ও সময়মত চিংড়ি ঘেরের পানি নিষ্কাসন না হওয়ায় চলতি মৌসুমে লক্ষমাত্রার

চেয়ে ৪৮০ হেক্টর জমিতে কম হয় আমন আবাদ। তবে কৃষকদের মধ্যে আশা

জাগিয়েছে চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন। বর্তমানে উপজেলা জুড়ে

রয়েছে আমন ফসলের ছড়াছড়ি, কোথাও রয়েছে সবুজের ক্ষেত, কোথাও আবার

সোনালী ফসল। সবুজ আর সোনালীর মাঝে ফুটে উঠেছে কৃষকের হাসি। কিছু

কিছু স্থানে চলছে ধান কাটার ধুম। বান্দিকাটি গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান

জানান, চলতি মৌসুমে ১৫ বিঘা জমিতে ব্রীধান- ৩০ ও বিআর- ২৩ ধানের চাষ

করেছি। কৃষি বিভাগের সার্বিক মনিটরিং এর কারণে এ বছর আমনের ভাল ফলন

হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এ কৃষক জানান। তবে সম্পন্ন ফসল ঘরে তুলতে এখনো বেশ

কিছুদিন সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি

অফিসার কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, মৌসুমের শুরুতেই

অতিবর্ষণে বীজতলা নষ্ট ও পানি নিষ্কাসন সমস্যাজনিত কারণে চলতি আমন

মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে সামান্য কিছু আবাদ কম হলেও বিগত যে কোন বছরের

চেয়ে এ বছর আমনের ফলন ভাল হয়েছে। ধান রোপনের পর প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ

এবং কৃষি বিভাগের সার্বিক মনিটরিং করার কারণে এ বছর আমনের বাম্পার ফলন

হয়েছে। ইতোমধ্যে, বিআর- ১০, ১১ ও ব্রীধান- ৩০ সহ প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির

ধান কর্তন করা হয়েছে। যার হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৫.২ মেট্রিকটন। অবশিষ্ট

ধান কর্তন সম্পন্ন করতে আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলে কৃষি বিভাগের

এ কর্মকর্তা জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451