নোয়াখালী’র সোনাইমুড়ী উপজেলা ১নং জয়াগ ইউপি জমাদ্দার বাড়ির সফিক মেম্বারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ
আতঙ্কে দিন কাটছে। ঘটনাসুত্রে এলাকা ঘুরে জানা যায়, জয়াগ বাজার সংলগ্ন জমাদার
বাড়ির মৃতঃ বদুমিয়ার কুখ্যাত সন্তান সন্ত্রাসী সফিক উদ্দিন এলাকায় তার অস্ত্রধারী ও
লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। দিনদিন তার অত্যাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজ ওর্য়াডের বাইরে গিয়েও প্রকাশ্যে দিবালোকে
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৮ নভেম্বর বিকাল ৫টায় সফিক,
ইলিয়াছের নেতৃত্বে ২০/৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী তার বাহিনী নিয়ে ১নং জয়াগ ওয়ার্ড
থেকে ৩ নং ওয়ার্ডে গিয়ে যুবলীগ নেতা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সহÑসম্পাদক
ও বর্তমান যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী কুতুব উদ্দিন পলাশকে তার বাহিনী নিয়ে ঘেরাও
করেন। তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। তুসী গ্রামের শরীফ মার্কেট আবুর দোকানে
আটক করে তার পালিত লাঠিয়াল ও অস্ত্রধারী বাহিনীকে খবর দেয় মুহুর্তের মধ্যে এসে হাজির
হয়ে দোকানের বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে আবার হত্যার উদ্দেশ্যে পুনঃএলোপাতাড়ি কিল ঘুষি,
লাথি, টর্চলাইট ও ছোরা দিয়ে কুপিয়ে মাথার বিভিন্ন জায়গায় ও দুইচোখে, পিঠে
মারাতœক ভাবে আহত করেন এবং গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন হঠাৎ এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড
দেখে উপস্থিত লোকজন চুর্তদিকে ছুটে প্রান বাঁচাতে চেষ্টা করে। ঘটনা স্থলে তার নিজ
বাড়ির অনেকে উপস্থিত থেকেও সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া দেখে সকলে পালিয়ে নিজ জীবন
রক্ষা করে। এ ঘটনা তাৎক্ষনিক ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়ার শিরোনামে
সংবাদ প্রচার শুরু হয়। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে সন্ত্রাসীরা সিএনজি ভাড়া দিয়ে
তাকে হাসপাতালে পাঠায়। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে তাকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় লাইফ কেয়ার
হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে সন্ত্রাসী
শফিক সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেন পরদিন বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়ায়
সংবাদ প্রচার হলে শফিক তার লাঠিয়াল এবং তার অস্ত্রধারী বাহিনীদেরকে নিয়ে পুনঃ ১নং
ওয়ার্ড থেকে ৩নং ওয়ার্ডে এসে সাংবাদিকদের গালমন্দ করে এবং যুবলীগ নেতার পরিবারকে
মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও প্রান নাশের হুমকি দেয়। যে কেউ ঘটনার স্বাক্ষী দিলে তাকে
মারধর করার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আহত যুবলীগ নেতা ও সাংবাদিক কুতুব উদ্দিন পলাশ
৭ডিসেম্বর নোয়াখালী বেগমগঞ্জ জজকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে যার নং ৫১৪/১৬
ধারা ৩২৩/৩২৪/৩০৭ ধারা উক্ত মামলায় শফিকুর ইসলামকে প্রথম আসামী করে ১১জনের বিরুদ্ধে
মামলা দায়ের করে। মামলায় দায়েরের প্রথম দিনে রোগীর সকল অবস্থা অবনতি দেখে বিজ্ঞ
সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হক ঐ দিনে প্রথম আসামী শফিকুল ইসলামের নামে
গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট দেন এবং বাকী দশ জনের বিরুদ্ধে সমনজারি করে আগামী ২ ফেব্রুয়ারী
২০১৭ ইং তারিখে স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। প্রধান আসামী এ খবর পেয়ে সকাল
১১টায় আবার তার বাহিনীসহ লোকজনকে হাজির করে। স্কুল ছাত্রছাত্রীদেরকে ভুল বুঝিয়ে
জড়ো করে বাদীর এলাকায় প্রবেশ করে বিভিন্ন ভাবে হট্ধসঢ়;্রগোল করে এবং বাদী পরিবারকে
প্রাননাশের হুমকি দেয়। কিন্ত ওয়ারেন্টের আসামী হয়েও শফিক এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং
বলাবলি করছে মামলা দিয়ে বাদী পক্ষকে হয়রানি করবে। উক্ত মামলার বাদীপক্ষ এখন
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ওয়ারেন্টে মামলার প্রথম আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী
জানান। এদিকে বাদীর শারিরীক অবস্থা একটু উন্নত হলেও চোখের অবস্থা ভয়াবহ। তার
চিকিৎসক বলেছে তার চোখ এখনো আশংকামুক্ত নয়। খবর নিয়ে জানা যায়, পলাশ ছাত্র জীবন
থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সৎ, নিষ্ঠাবান কর্মী পরিচিত মুখ। সে ১৯৯৭ সালে
কালিকাপুর হাইস্কুলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বেগমগঞ্জ উপজেলায়
জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত এমপি বরকত উল্যা বুলু ও এমপি প্রার্থী জামাত
বিএনপির আতংক মনে করে যুবলীগ নেতা পলাশ কে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ
করে। তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. এ.বি.এম
জাফর উল্যার নির্বাচনী ক্যাশিয়ার হিসেবে পলাশ দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু তার কারাবরণের
খবর পেয়ে তৎকালীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রব ও এমপি প্রার্থী ডা.
এ.বি.এম জাফর উল্যাা, সাবেক এমপি অধ্যাপক হানিফসহ তাকে তদবির করে কারামুক্ত করে।
এরপরও কয়েকবার ইউপি পরিষদের নির্বাচনের পূর্বেও তাকে কয়েকবার মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল
হাজতে প্রেরণ করে। দুঃসময়ের আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন। সে দলের কোন
পদের লোভ কখনও করেনি। বর্তমানে হাইব্রিড নেতাদেরও সে সকল অপকর্মের আতংক।
কয়েকদিন পূর্বে কেন্দ্রীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা তাকে ইউনিয়ন যুবলীগের
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কাজ করার পরামর্শের কথা জানতে পেরে সফিক তার
লাঠিয়াল ও অস্ত্রবাহিনীর আতংক মনে করে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা
চালায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সচেতন মহল জানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে
বলেন, তারা সরকারী জায়গায় পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দোকানপাট নির্মাণ, পার্শ্ববর্তী
প্রতিবেশীর জায়গা জোর করে দখল এবং হামলা করে ঘরদরজা ভাংচুর করে। পরবর্তীতে থানায়
মামলা হলে পুলিশ এবং থানাকে ম্যানেজ করে বাদী পক্ষকে ৩,৭৫০০০ টাকা দিয়ে ঐ জায়গা
নিয়ে যায়। তার এই বাহিনীগুলি বর্তমানে মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসা সহ নানা
অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজী নয়। সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে
সে তার বাহিনী দিয়ে ভোটারদেরকে এবং তার প্রতিপক্ষকে হুমকি, ধমকি দিয়ে সে ভোটে
জয়ী হয়ে সে তার অত্যাচার আরো দিন দিন বেড়ে চলছে এবং সরকার কর্তৃক দরিদ্রদের জন্য
আগত চাল ৩০ কেজির স্থলে ১৩/১৪ কেজি চাল দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। কেউ তার বাহিনীর
আতংকে মুখ খুলতে এবং স্বাক্ষী দিতে রাজী নয়। উক্ত সন্ত্রাসীদেরকে আইনের মুখোমুখি
করার জন্য ভূক্তভোগী পরিবারগণ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।