হেলাল শেখ-ঢাকা ঃ
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার ৫৯টি পোশাক কারখানা গত পাঁচদিন ধরে বন্ধ থাকার পর শ্রমিকরা আবার অনকেই কাজে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিজিএমই এর নির্র্দেশনায় কারখানাগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিলো।
বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিজিএমইএ। নিরাপত্তায় রয়েছে বিপুল পরিমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের হাতে আটকের ভয়ে শ্রমিকরা অনেকেই গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। গত ৫ দিনে শ্রমিকদের তেমন কোনো কর্মসুচি বা আন্দোলন করতে দেখা যায়নি।
রবিবার সকালে জামগড়া এলাকায় ডিজাইনার জিন্স নামে একটি কারখানাসহ কয়েকটি কারখানায় কিছু শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন বলে শ্রমিকরা জানান। অনেক শ্রমিক বিভিন্ন কারখানার সামনে দেখা গেলেও সেসব কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় তারা কাজে যোগ দিতে পারেননি। শ্রমিকরা জানান, পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছেন কারখানার সমনে থেকে, আর পুলিশের সদস্যরা জানান, কারখানা খুলে দেওয়া সংক্রান্ত বিষেেয় বিজিএমই এর ঘোষণার পরই শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে পারবে।
অন্যদিকে শ্রমিক অসন্তোষে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ৮টি মামলায় প্রায় দুই হাজার জনের আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় প্রায় ২৮ জনকে আটক করেছেন পুলিশ। এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানার প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিককে বহিস্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৭ সাল থেকে বাসা ভাড়া ৩ বছর বাড়ানো যাবে না বলে বাড়ির মালিকদেরকে জানানো হয়েছে। অনেকেই ধারনা করছেন, আগামী ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালে সবগুলো শিল্পকারখানায় আবার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে ভালো ভাবে কাজ করবেন। সাধারণ শ্রমিকদের দাবি, তাদের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে কারখানার মালিকরা তেমন কোনো কথা না বলার কারনে তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।