ক্রীড়া প্রতিবেদক:
গত প্রায় দুই বছর ঘরের মাঠে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে অসাধারণ সাফল্যে উজ্জীবিত হয়েই নিজেদের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছাড়েছে মাশরাফি-সাকিবরা। পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ সে সময়ে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশের কাছে। এই কিছুদিন আগেও আফগানিস্তানকে সিরিজ হারিয়েছে এবং ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে লাল-সবুজের দল।
ঘরের মাঠে এত সাফল্যের পর এবার ভিন্ন কন্ডিশনে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে তারা। সিরিজে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দুই দল।
এই সিরিজকে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ায় নয়দিনের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে মাশারাফি বাহিনী। পার্শ্ববর্তী দেশ বলে সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এই ক্যাম্প করেছিল বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশের জন্য এখন বড় দুশ্চিন্তা সেখানকার প্রতিকূল আবহাওয়া। ক্রাইস্টচার্চে এখন প্রচণ্ড ঠান্ডা। সেখানকার আবহাওয়া ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। বিশেষ করে বাতাস খুবই ঠান্ডা, যা একেবারে কাঁপিয়ে দেয়। এমন আবহাওয়ায় প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করাটা আসলেই কঠিন ব্যাপার।
এমন কন্ডিশনে ভালো খেলা কঠিন তা মানছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা যথেষ্টই ভালো। তবে এখানে বেশ ঠান্ডা। আমরা রীতিমতো কাঁপছি। তা ছাড়া যেসব জায়গায় আমাদের খেলা, সেসব জায়গায় বেশ ঠান্ডা। তারপরও এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই আমাদের খেলতে হবে।’
সিরিজের শুরুটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের মানতেই হবে যে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো হলে আত্মবিশ্বাটা ভালো জায়গায় থাকে। পরবর্তী সময়ে ভালো খেলতে সুবিধা হয়। প্রস্তুতি অনুযায়ী ভালো খেলতে পারলে আশা করি সাফল্য পাব।’
টাইগারদের নতুন চ্যালেঞ্জের শুরু আগামীকাল ভোর ৪টায়। ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মোকাবিলায় নামবে তারা। সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে হবে যথাক্রমে ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর। তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ৩, ৬ ও ৮ জানুয়ারি। আর দুটি টেস্ট হবে ১২ থেকে ১৬ এবং ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি।