নাটোরের বড়াইগ্রামে অবৈধ আয়ুর্বেদিক ঔষধ কারখানা ও
বিএসটিআই’য়ের অনুমোদনবিহীন ফুড কোম্পানীতে মঙ্গলবার দুপুরে
অভিযান চালিয়েছে র্যাব-৫। এ সময় বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য
সামগ্রী ও কেমিক্যালসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে একজনের ১৫ দিনের কারাদন্ড ও অপর দুজনকে মোট ৫ লাখ
টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব-৫ এর নাটোর কোম্পানী কমান্ডার মেজর আশরাফ জানান, গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার গড়মাটি গ্রামে জেনি আয়ুর্বেদিক
ল্যাবরেটরি লিমিটেডে অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রয়োজনীয়
অবকাঠামো ছাড়া, অদক্ষ লোক দিয়ে অস্বাস্থ্যকর উপাদানে অবৈধ যৌন
উত্তেজক আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরী ও বাজারজাত করার অভিযোগে কোম্পানীর
স্বত্তাধিকারী গড়মাটি গ্রামের মোজাফ্ধসঢ়;ফর হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া
তানজিম ও ভূঁয়া ল্যাব এ্যাসিস্ট্যান্ট একই গ্রামের আবুল হোসেন
মোল্লার ছেলে আনিসুর রহমান ফাইনাল (২৫) কে দুই হাজার ৯শ লিটার
কেমিক্যালসহ আটক করা হয়। অপরদিকে, বনপাড়ায় বিএসটিআই’য়ের
অনুমোদনবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী তৈরী, মজুদ ও বিক্রির
অভিযোগে আল জাহরা ফুড এন্ড বেভারেজে অভিযান চালানো হয়। এ সময়
স্টোর কিপার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার শীতলপাড়া গ্রামের কবির
হোসেন হাওলাদারের ছেলে সুমন হোসেন (৩৪) কে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও ইশরাত
ফারজান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সুমন হোসেনের নগদ ৪ লাখ ও সুরাইয়া
তানজিমের কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং
আনিসুর রহমানকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়। এ সময় জব্দ করা প্রায় ৮শ
কেজি মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী ও দুই হাজার ৯শ লিটার কেমিক্যাল
ধ্বংস করা হয়। উল্লেখ্য, আল জাহরা ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডে
ইতোঃপূর্বেও একই অপরাধে আরো দুই বার জরিমানা ও সিলগালা করা
হয়েছে।