স্পোর্টস ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অনেক আশা জাগিয়েও শেষপর্যন্ত হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। নিশ্চিত হয়ে গেছে সিরিজে হারটাও। তৃতীয় ওয়ানডেটা তাই অনেকের কাছেই মনে হতে পারে অর্থহীন। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় যেটাকে বলা হয় ‘ডেড রাবার’। কিন্তু সত্যিই কি তাই? সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেলেও ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটাতেও যে অনেক কিছু প্রমাণ করার আছে মাশরাফিদের। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানিটা তো এখনো আছে সামনে। জয় পেলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাটাও এড়াতে পারবে টাইগাররা।
এর আগে ২০০৭ ও ২০১০ সালে দুবার নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে পড়তে হয়েছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়। এবার মাশরাফি বাহিনী সেই দৃশ্যপটটা পাল্টে দেবেন, এমন আশা নিয়েই অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। আগের দুই ম্যাচে হারের ভুলত্রুটিগুলো তৃতীয় ওয়ানডেতে সংশোধন করে নিতে পারবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
নেলসনের স্লো পিচে ভালো সহায়তা পেতে পারেন স্পিনাররা। বিশেষত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কেইন উইলিয়ামসন যেভাবে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন, তা থেকে এই অনুমান করাই যায়। বাংলাদেশও এই জায়গায় কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারে। বল হাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বা তানভীর হায়দাররা।
তৃতীয় ওয়ানডের দলে নিউজিল্যান্ড মাঠে নামাতে পারে অফস্পিনার জিতন পাটেলকে। ২০০৯ সালের পর আবার হয়তো ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবেন ৩৬ বছর বয়সী এই অফস্পিনার। আর পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে যে বিশ্রাম দেওয়া হবে, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ দলেও আসতে পারে একটি পরিবর্তন। লেগস্পিনার তানভির হায়দারের জায়গায় মাঠে দেখা যেতে পারে তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে। শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হবে এই তৃতীয় ওয়ানডে।
সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল : তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান, তানভীর হায়দার/মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, শুভাশিষ রায়, তাসকিন আহমেদ।