মো. আখলাকুজ্জামান
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি ঃ
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নে সরকার দলীয় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মি
সমর্থকদের মধ্যে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনায় ভুক্তভোগী তমিজুর রহমান বাদী হয়ে ৬৭
জন সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করলে শুক্রবার রাতে ৯ জনকে
গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। এতে করে গ্রেফতার আতঙ্কে ওই ইউনিয়নের ৭টি
গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধারাবারিষা ইউনিয়নের উদবাড়িয়া
গ্রামে আ’লীগের দু’গ্র“পের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সরকার দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল
মতিনের সমর্থকরা প্রতিপক্ষ আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসানের ১২ জন
সমর্থকের বাড়িঘর ভাংচুর সহ লুটপাট ও মারপিট করার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্থ
ভুক্তভোগী উদবাড়িয়ার মো. তমিজুর রহমান গুরুদাসপুর থানায় বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ আব্দুল মতিনের ৬৭ জন
সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২৫ জন সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে শিধুলী গ্রামের এনতাজ আলী (৪২), সাইফুল ইসলাম (৩৬),
শহিদুল ইসলাম (৫০), রজিব আলী (৩৫), পোয়ালশুড়া গ্রামের শাহজাহান আলী (৫৬), মনিরুল ইসলাম (২৯) ও
সুমন সরকার (২৪) এবং উদবাড়িয়ার রইস উদ্দিন (৪৫) ও চলনালী গ্রামের হাফিজুর রহমান (৩২) সহ ৯ জনকে
গ্রেফতার করে নাটোর জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। এ মামলায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট ঘটনায় অভিযুক্ত
বাকি আসামী ছাড়াও অন্যান্য জড়িতদের যেকোন মুহুর্তে থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে আতঙ্কে
ধারাবারিষা ইউনিয়নের শিধুলী, পোয়ালশুড়া, চলনালী, উদবাড়িয়া, চরকাদহ, ধারাবারিষা, খাকরাদহ গ্রামের
প্রতিটি বাড়ি পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে বলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে মেহেদী হাসান বলেন, আমার কর্মি সমর্থকরা নৌকা মার্কায় ভোট না দিয়ে ঘোরা
মার্কায় ভোট দেয়ায় তাদের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিট করেছে মতিন চেয়ারম্যানের লোকজন। তার
প্রমাণ, ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এএসপি সার্কেল শফিকুল ইসলাম ও গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার
আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাননি। আমার বিরুদ্ধে মতিন চেয়ারম্যান যা বলেছে সব মিথ্যা ও
ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস জানান, মামলার অভিযুক্ত প্রত্যেক
আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। #