এ অবস্থায় আগামীকাল থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে সপ্তমবারের মতো নতুন তালিকা প্রণয়নের কাজ। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারাই এ তালিকায় স্থান পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।
একটি পতাকা, একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের আশায় ১৯৭১ সালে সূচনা হয় বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম।
প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কাজটি হয়েছিলো ১৯৮৪ সালে। সে তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ছিলো ১ লাখ আড়াই হাজার। ১৯৮৮ সালে তা নেমে আসে ৭০ হাজারে। এরপর সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন তালিকায় ক্রমাগত বেড়েছে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা। এছাড়া বিভিন্ন সরকারের আমলে পরিবর্তন করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞাও। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্তও। সবশেষ গতবছরের ৬ই নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন করে সংজ্ঞা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে যারা যুদ্ধ করে তাদের তালিকা করা হয় নাই। বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়েছে এবং যারা স্বাধীনতা বিরোধী তাদের তালিকা করা হয় নাই।’
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘কে মুক্তিযোদ্ধা আর কে মুক্তিযোদ্ধা নয়, এ চূড়ান্ত অপব্যবহার আমরা দেখেছি গত তালিকা তৈরির সময়।’
সবশেষ তালিকা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়। এরপর বেশ কয়েকজন সরকারী কর্মকর্তার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দুদক। এ অবস্থায় ৭ জানুয়ারি থেকে আবেদন যাচাই বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সংজ্ঞা না থাকার কারণে একেকজন একেক বিবেচনায় তালিকা তৈরি করেছেন। সেজন্য এটা ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে।’
২০১৫ সালে বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। সবশেষ গত ৩ জানুয়ারি ২ হাজার ৩৬৭ জন গেরিলাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।