সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার বহু প্রত্যাশিত ৮টি সেতু নির্মান প্রকল্প জাতীয়
অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমদিত
হয়েছে ৮টি সেতু। এর মধ্যে তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর উপর
সেতুটি হবে সবচেয়ে বড়,দৃষ্টি নন্দন ও আকর্শনীয় উপজেলাবাসীর
স্বপ্নের সেতু। হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার বাসীর দশ
লক্ষাধিক জনসাধারনের শত কষ্টের মাঝে বাচাঁর স্বপ্ন আবারও জেগে উঠল।
এই সেতু গুলোর কাজ সঠিক ভাবে দ্রুত শুরু করার দাবী জানান সুনামগঞ্জ
জেলাবাসী। কারন সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার চরম
দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচেছ
তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,র্ধমপাশা,ছাতক,দিরাই ও মধ্যনগড় থানায়
বসবাসকারী জনসাধারন কে। সেতু না থাকা ও সড়ক পথের ভাল
যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকায় এই সব উপজেলা গুলোতে সহজে
যোগাযোগ করা যেত না। সেতু গুলো নিমার্ন হলে যোগাযোগ
ব্যবস্থার ব্যাপক পরির্বতন হবে। এই সেতু গুলো অনুমোদন হওয়ার খবর প্রকাশ
পাওয়ায় হাওরবাসীর মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। জানাযায়,গত মঙ্গলবার ১০ই
জানুয়ারী রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান মন্ত্রী ও একনেক
চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্টিত বৈঠকে এই সেতু গুলোর
অনুমোদন করেন প্রধান মন্ত্রী। সেতু গুলো হচ্ছে,জেলার তাহিরপুর উপজেলার
মহেষ খলা-ট্যাকেঘাট- লাউড়েরগড় সড়কের যাদুকাটা নদীর উপর ৭৫০মিটার
সেতু,মহেষখলা-কাউকান্দি- টেকেরঘাট সড়কের উপর ডাম্পের বাজার
সংলগ্ন পাঠলাই নদীর উপর ৪৫মিটার সেতু।মধ্য নগড় থানাধীন মধ্যনগড়-
মহেষখলা সড়কের উপর ২০০মিটার সেতু,জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার-
গালকপুর সড়কের বৌলাই নদীর ৩০০মিটার সেতু,মধ্যনগড় বাজার সংলগ্ন
উবদাখালি নদীর উপর ৩০০মিটার সেতু,ধর্শপাশা উপজেলার জয়শ্রী-
গোলকপুর সড়কের জয়শ্রী বাজার সংলগ্ন বুরাইয়া নদীর উপর ৩০০মিটার
সেতু, দিরাই উপজেলার দিরাই-ধল- মারকুলি সড়কের কাজুয়া নদীর উপর (মরা
কুশিয়ারা) ৩০৮মিটার সেতু। আর এই সেতু গুলো ২০০কোটি টাকা ব্যয়ে
বাস্থবায়ন হবে। এসব সেতুর কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে জানাযায়।
বাদাঘাট ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জানান,বহু প্রতিক্ষিত
যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মানের দাবী পুরন হল। এখন বাস্থবায়ন হলে
এলাকাবাসী উপকৃত হবে আমি এলাকাবাসী ও উপজেলা আ,লীগেরর পক্ষ
থেকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কে ধন্যবাদ জানাই।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল
জানান,তাহিরপুর উপজেলা একটি বিচ্ছিন্ন উপজেলার ৬মাস পানিতে
ভরপুর থাকে আর বাকি ৬মাস শুষ্ক মৌসুম। হাওর বাসীর বর্ষার ৬মাস
একবারেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। সড়ক পথে সেতু গুলো তৈরী
হলে হাওরবাসী উপকৃত হবে। সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার
মোয়াজ্জোম হোসেন রতন বলেন,দেশনেতৃ উন্নয়নের রুপকার প্রধান
মন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের হাওরবাসীর
অসুবিধার কথা চিন্তা করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন এই ৮টি
সেতু একনেকে অনুমোদন দিয়েছেন। আমি আমার নির্বাচনী
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কে
ধন্যবাদ জানাই।