আগামীকাল গাজীপুরে শুরু হচ্ছে মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসম্মেলন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। টঙ্গীর তুরাগ তীরে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তাবলিগ জামাতের কর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন আগত লাখো মুসুল্লিকে বিনা ভোগান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করতে। এদিকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের কথা মাথায় রেখে আগতদের পাঁচ স্তরে নিরাপত্তার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেও পুরো ইজতেমা মাঠকে পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আগত মুসুল্লিতের সুবিধার্থে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক চিহ্ন তৈরিতে ব্যস্ত কেউ কেউ। কেউ বা আবার স্বেচ্ছাশ্রমে থাকার ব্যবস্থা করছেন আগত মুসুল্লিদের জন্য। ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার জন্য এভাবেই টঙ্গীর তুরাগ তীরের প্রায় ১৬০ একর জমির ইজতেমা মাঠ তৈরি হচ্ছে।
মুসল্লিরা বলছেন, পরকালে মুক্তির জন্যই মানবসেবার মাধ্যমে তাদের এ প্রচেষ্টা।
প্রথম পর্বের তিনদিন ব্যাপী ইজতেমায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে দেশের নির্দিষ্ট ১৬টি জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তাদের নিয়ে মাঠে চলছে আলাদা আলাদা বয়ানও।
আগত লাখো মুসুল্লিদের সেবা দিতে মাঠের চার পাশে প্রস্তুত করা হয়েছে ২৮টি তিনতলা বিশিষ্ট টয়লেট। আশুলিয়ার রাস্তা থেকে সরাসরি মাঠে প্রবেশ করতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তুরাগ নদীতে নির্মাণ করা হয়েছে ৭টি অস্থায়ী সেতু। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও প্রায় ৩০টি দেশ থেকে আসা মুসল্লিরা এ ইজতেমায় অংশ নেবেন। তাই আয়োজকরা জানিয়েছেন, তরুণরা যাতে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যায় আর বিপথে না যায় সে বিষয়ে ইজতেমায় বিশেষ বয়ান রাখা হবে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, দেশী বিদেশী লাখো মুসল্লির নিরাপত্তায় ইজতেমা মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ হাজার সদস্য নিয়োজিত করার পাশাপাশি মাঠ পর্যবেক্ষণে থাকছে নয়টি ওয়াচ টাওয়ার। প্রতিটি মোড়ে বসানো হয়েছে চারমুখী সিসি ক্যামেরা।