রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সৌরভের অর্থের অভাবের চিকিৎসা হচ্ছে না। আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র সভাপতি হেলাল শেখকে প্রাণঢালা অভিনন্দন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের প্রাণহানি ধামরাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া 

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলের চেষ্টা থাকা বাঞ্ছনীয় : রাষ্ট্রপতি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ   রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মনে করেন, বিতর্কহীন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলের চেষ্টা থাকা বাঞ্ছনীয়।

আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনায় রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি আজ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ এবং গণফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রতিটি দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। পরে বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রথমে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অংশ নেয়। সংগঠনের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা হাবীবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনটি আলোচনায় অংশ নেয়। তাঁরা সংবিধানের ১১৮ ধারা অনুযায়ী শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা দেন এবং রাষ্ট্রপতির এই উদ্যোগকে স্বস্তিদায়ক হিসেবে উল্লেখ করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বিভিন্ন গঠনমূলক প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাব শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে সহায়ক হবে। বিতর্কহীন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দলের চেষ্টা থাকাও বাঞ্ছনীয়।

এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে।

নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।

দলের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া ১১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশন গঠনে পাঁচ থেকে সাত সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নেরও প্রস্তাব করেন। এ ক্ষেত্রে আইন ও বিধি-বিধান তৈরি কিংবা পরিবর্তনের দরকার হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করারও প্রস্তাব দেন।

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা অপরিহার্য। দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক, আর তা হলো- জনকল্যাণ। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকেও সমঝোতার উদ্যোগ নিতে হবে।

আজ সবশেষ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় গণফ্রন্ট। পার্টির চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা বঙ্গভবনে আসেন। রাষ্ট্রপতি তাঁদের স্বাগত জানান।

গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ সময় নিরপেক্ষ ও অর্থবহ নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন ও যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেন। সৎ, দুর্নীতিমুক্ত এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসীদের সমন্বয়ে নয় সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন, যাতে তিনজন নারী সদস্য থাকবেন।

এর পাশাপাশি গণফ্রন্ট ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম চালুরও প্রস্তাব করেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ কার্যকর ও ফলপ্রসূ হবে। দলের চেয়ারম্যান নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৪ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এসব আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451