সাতক্ষীরা : ভারতের হায়দ্রাবাদে আইপিএল জয় করে প্রায় দুই মাস পর সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়ায় গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এ মুহূর্তে তার দরকার বিশ্রাম। ইতোমধ্যে তার শরীরের ওজন কমেছে দুই কেজি। তবে তার বিশ্রামের চেয়ে বেশি সময় কাটছে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু ও ভক্তদের সঙ্গে। এ কারণে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারছেন না মুস্তাফিজ। তাই মুস্তাফিজের সঙ্গে দেখা করা, কথা বলা কিংবা ছবি তোলার ওপর কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের বিশ্রামের কথা চিন্তা করে তার সঙ্গে দেখা করার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।কালীগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, মুস্তাফিজ যাতে বাড়িতে নির্বিঘ্নে বিশ্রাম নিতে পারেন, সেজন্য তার সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য তাদের বাড়িতে সব সময় দুজন গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লস্কর জায়াদুল ইসলাম জানান, মুস্তাফিজের বাড়ির আশপাশে পুলিশ সব সময় টহল দিচ্ছে। বিশেষ করে রাতে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।মুস্তাফিজের ভাই মোখলেছুর রহমান জানান, আইপিএল জয় করে প্রায় দুইমাস পরে মুস্তাফিজ বাড়িতে আসে কয়েক দিন আগে। আগামী প্রথম রোজা পর্যন্ত বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেয়ার ইচ্ছা তার। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার এ দু’দিন ভক্ত, বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের সময় দেয়ার কারণে বিশ্রাম নিতে পারেননি তিনি। রাত দুইটার দিকে ঘুমাতে হয়েছে তাকে। আবার ভক্তরা ভোর হতে না-হতেই ভিড় করতে থাকেন বাড়িতে। বাধ্য হয়ে ঘুম থেকে তার উঠতে হয়েছে খুব সকালে। তাই স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবারের পক্ষ থেকে মুস্তাফিজের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকাড়ি আরোপ করা হয়েছে। তার সঙ্গে দেখা করা, কথা বলা কিংবা ছবি তোলার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত। মোখলেছুর আরও জানান, তাদের গ্রামে বিদ্যুতের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ইতোমধ্যে কালীগঞ্জ-আশাশুনি সড়ক থেকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য একটি মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান এসে জরিপও করে গেছে।গত বৃহস্পতিবার শুভেচ্ছা জানাতে ও মিষ্টিমুখ করাতে মুস্তাফিজের বাড়িতে যান সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা। ওই সময় জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন মুস্তাফিজের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।