বাংলার প্রতিদিন ডটকমঃ অপ্রত্যাশিত কল ও এসএমএসের বাড়াবাড়িতে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল ফোন উটকো ঝামেলায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন গ্রাহকেরা। যখন তখন কল ও এসএমএসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন বা টেলিমার্কেটিংয়ের প্রচার এই যন্ত্রণার কারণ বলে দাবি করেছেন তারা। অপারেটর গুলোর এমন বিরামহীন বিজ্ঞাপন বন্ধে আইন করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে টেলিমার্কেটিং ও মধ্যরাতে বিজ্ঞাপন বন্ধে নীতিমালা করার পরিকল্পনার কথা জানান বিটিআরসি ও প্রতিমন্ত্রী।
গভীর ঘুম অথবা জরুরী কোন মুহূর্তে বাহারি অফার নিয়ে মোবাইলে হাজির বিজ্ঞাপন। পণ্য প্রচারের এই মাধ্যম আগে সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও বর্তমানে তা অতিষ্ঠ করে তুলেছে গ্রাহকদের। বিলবোর্ড, পত্রিকা, আর টেলিভিশনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিজ্ঞাপনের উৎপাত ঢুকে পড়েছে ১২ কোটি মোবাইল গ্রাহকের মুঠো ফোনেও।
গ্রাহকরা বলেন, দিন নাই দুপুর নাই সব সুময় কোম্পানী থেকে এসএমএস আসে। ক্লাসে থাকার সময় জরুরী ফোন মনে করে রিসিভ করার পর দেখা যায় অহেতুক সেটা। যখনই মনে আসছে তখনই এসএমএস পাঠাচ্ছে। এমনও হয় দিনে তিন চার বার করে এসএমএস পাঠাচ্ছে। টেলিমার্কেটিং এ কোটি টাকার ব্যবসা হলেও দেশে এ সংক্রন্ত কোন আইন নেই বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, একজন গ্রাহক হিসেবে আমার ব্যক্তিগত বিষয় থাকতে পারে। কখনো জিজ্ঞাসা করা হয়না আমাকে এই প্রোডাক্টটি পাঠাতে পারবে কিনা।
তবে রাত ১২ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অপারেটরগুলো তা মানেছে না বলে জানায় বিটিআরসি। অন্যদিকে প্রযুক্তিগত সমস্যায় এমনটা হচ্ছে উল্লেখ করে সমস্যা সমাধানে কাজ করার কথা বলছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব। এদিকে মোবাইল গ্রাহকদের ভোক্তা অধিকার আইনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছে বিটিআরসি।
মধ্যরাতে বিজ্ঞাপন বন্ধে অপারেটরদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানালেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রমোশনাল এসএমএস গুলো রাত বারোটার পরে না যায় সেভাবে তারা এসএমএস গুলো প্রদান করবে। অফারের ফুলঝুরি না দিয়ে সেবার মান বাড়াতে অপারেটরদের আন্তরিক হওয়ার দাবি জানান মোবাইলগ্রাহকরা