সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের হাতে
আজিজ মিয়া(২০) নামের এক বাংলাদেশী নাগরিককে আটকের
৫ঘন্টা পর বিজিবির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার
দুপুর সাড়ে ১২টায় ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে তাকে আটক
করা হয়। পরে বিকাল ৫টায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির
নিকট হস্তান্তর করে বিএসএফ। আটককৃত আজিজ মিয়া
উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের চান মিয়ার
ছেলে। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়,তাহিরপুর উপজেলার
বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকা দিয়ে প্রতি সোম ও
মঙ্গলবার প্রায় শতাধিক লোককে বিভিন্ন কাজের জন্য অবৈধভাবে
ভারতে পাঠানো হয়। এবং প্রতি শনি ও রবিবার কাজ শেষ করে
লোকজন বাংলাদেশে ফিরে আসে। এজন্য বালিয়াঘাট বিজিবি
ক্যাম্পের নাম ভাঙ্গিয়ে জনপ্রতি ৩০০টাকা ও সুনামগঞ্জ
২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়কের নামে ৫০০টাকাসহ মোট
১হাজার টাকা হারে চাঁদা নেয় লালঘাট সীমান্তের একাধিক
চোরাচালানী মামলার ৩বার জেলখাটা আসামী চিহ্নিত
চোরাচালানী আবুল কালাম। এছাড়াও তার নেতৃত্বে এই লালঘাট
সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে কয়লা,গরু,মদ,গাজা ও
হেরুইনসহ নানান প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করা হচ্ছে।
প্রতিদিনে মতো গতকাল শনিবার দুপুরে ভারত থেকে কাজ শেষে
লোকজন লালঘাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে বিএসএফ
তাড়া করে শ্রমিক আজিজ মিয়াকে আটক করে। আর অন্যান্যরা
পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এব্যাপারে চোরাচালানী আবুল কালাম
বলেন,আমি যা করি বালিয়াঘাট ক্যাম্পের কমান্ডার সাহেবের
অনুমতি নিয়েই করি,আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখলে কিছুই
হবেনা কারণ আমারও ২-৩জন সাংবাদিক আছে। এব্যাপারে
বালিয়াঘাট ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন করার
পরও কেউ ফোন রিসিভ করেনি। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের
বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,আটককৃত বাংলাদেশী
নাগরিককে ফেরত আনা হয়েছে,আর লালঘাট সীমান্তের অনিয়মের
ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।