ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা :
পাইকগাছায় ২ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা
হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ১৬শ হেক্টর জমিতে রোপন কাজ সম্পন্ন
হয়েছে। চলতি বছর ধানের দাম বেশি হওয়ায় বোরো আবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে
সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
বর্তমানে সারাদেশে চলছে বোরো আবাদের মৌসুম। আর এ মৌসুমকে ঘিরে
বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাইকগাছার কৃষকরা। শীত উপেক্ষা করে শিশিরভেজা
ভোর থেকে কাজ করছেন বোরো ক্ষেতে। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন, কেউ আবার
চাষ করছেন, কেউ করছেন আগাছা পরিষ্কার। তবে বেশির ভাগ কৃষক ব্যস্ত রয়েছেন
রোপন কাজ নিয়ে। কৃষকের ব্যস্ততা দেখে মনে হচ্ছে শীত যেন তাদেরকে স্পর্শ করছে না।
শরীরে রয়েছে হালকা পোশাক, মাথায় গরম কাপড়। দেখে যে কেউ বলবেন কৃষকের সব শীত
মাথায়। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান,
চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ হাজার ২শ হেক্টর
জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ব্রিধান ২৮- ৮শ হেক্টর,
ব্রিধান ৫৫- ২শ হেক্টর, বিনা ১০- ১৫০ হেক্টর, বিনা ৮- ৫০ হেক্টর, স্বর্ণ- ১শ হেক্টর, হাই
ব্রিড শক্তি ২- ৪শ হেক্টর, হিরা- ৩শ হেক্টর, এসএল ৮- ৩শ হেক্টর। লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ইতোমধ্যে
উফসি ১ হাজার ৫০ হেক্টর ও হাই ব্রিড ৫শ ৫০ হেক্টর জমির রোপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ধানের দাম বেশি
হওয়ায় বেশির ভাগ কৃষকরা বোরো চাষে ঝুকে পড়েছে। এছাড়া অনেক কৃষক এ বছর
গমের আবাদ না করে বোরো চাষ করছে। আর এ জন্য ধারণা করা হচ্ছে লক্ষমাত্রার চেয়ে ৪শ
হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হবে। বর্তমানে আবহাওয়া যে ভাবে অনুকুলে রয়েছে
এবং শেষ পর্যন্ত এভাবে অনুকুলে থাকলে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
হবে বলে উপজেলা কৃষি অফিসার এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।