যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতাদের বাংলার মাটিতে বিচার হতেই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, সেই রায় কার্যকর হয়েছে। যারা এদের মদদ দিয়েছে তাদেরও বিচার বাংলার মাটিতে একদিন হতেই হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ আর মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে হবে। এগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু যারা বিভ্রান্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের স্থান হবে না।’
ছাত্রলীগকে বই পড়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের একটা কথাই বলব, জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ধন-সম্পত্তি চিরদিন থাকে না, কিন্তু একটা আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারলে সেই সম্পদটাই চিরদিন থাকে। আর ছাত্রদের জন্য সব থেকে বড় সম্পদ হবে শিক্ষা। কারণ, শিক্ষাই পারে একটি দেশকে, একটি জাতিকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে খুনি মোশতাক প্রথমে দালালি করে মন্ত্রী হয়েছিল। কিন্তু তিন মাসও টিকতে পারেনি। কারণ, তার পেছনে যে ছিল সে সামনে এসে গিয়েছিল- সে ছিল জিয়াউর রহমান।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন জাতির পিতা। এই সময়ে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ তিনি গড়ে তুলেছিলেন। আজ যদি জাতির পিতা বেঁচে থাকতেন তাহলে বাংলাদেশের উন্নতি করতে এত বছর লাগত না।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর মাত্র নয় মাসে জাতির পিতা আমাদের যে সংবিধান দিয়ে গেছেন, যেখানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলে গেছেন, আমরা একে একে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল সেগুলো মোকাবিলা করে আলোর পথে, প্রগতির পথে যাত্রা শুরু হয়েছে। এটা যেন থেমে না যায় সেদিকে সজাগ থাকার তাগিদ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সাবেক নেতারা ছাত্রলীগ নেতাককর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ছাত্রলীগের নামে আর খারাপ সংবাদের শিরোনাম হওয়া যাবে না।