ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয়দের
সহায়তায় লাছী নদীর উপর কাঠের সাঁকো নির্মান করেছেন প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে কাঠের তৈরি সাঁকোটি জনসাধারনের
পারাপারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেন পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী
অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার । এ সময় উপস্থিত ছিলেন
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রান্তকথা’র প্রকাশক
রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র রায়,
উপজেলা বন কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম, ইটভাটা ব্যবসায়ী জাহিদুর
রহমান, কাঠ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম কাশু, হাফিজুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে প্রান্তকথা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় ‘পীরগঞ্জে
ঝুঁকিপূর্ন সাঁকো দিয়ে যাতায়াত’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ
প্রকাশিত হলে ‘কেবিনেট’ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুর রহমান
পাটোয়ারী’র দৃষ্টি গোচর হয়। তিনি তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসককে
সাঁকোটি নির্মানের জন্য নিদের্শ দেন। এর পর জেলা প্রশাসক আব্দুল
আওয়াল পীরগঞ্জের ইউএনও এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারকে
প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। ইউএনও স্থানীয়দের সহায়তার ঝুঁকিপূর্ন
সাঁকোটি পুনঃনির্মান করেন। প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য উপজেলার দৌলতপুর
ইউনিয়নের বাঁশগাড়া গ্রামে লাছি নদীর উপর এলাকাবাসীর উদ্যাগে
নির্মিত ঝুঁকিপূর্ন বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীসহ সকল বয়সের
সহ¯্রাধিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতেন।
এরইমধ্যে বাঁশের পাটাতন ভেঙ্গে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ঐ
গ্রামে আবুল হাশেম নামে এক কৃষক পাকা ব্রিজ নির্মানের জন্য
ব্যবসায়ীসহ এলাকার ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে ৮০ হাজার
টাকায় ৮টি সিমেন্টের পিলার নির্মাণ করেন। কিন্তু অর্থের অভাবে ব্রিজ
নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে পারেন নি তিনি। পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী
অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, পত্রিকায় এ
ঝুঁকিপূর্ন সাঁকোটির সংবাদ ছাপানোর পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের
নির্দেশে স্থানীয়দের সহায়তায় এটি পুনঃনির্মান করে দেয়া হলো। এখন
থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজার জাত ও
সাধারণ মানুষ এ সাঁকোর উপর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে পারবে।
//জাকির হোসেন,পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাও)থেকে :