শুক্রবার দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার আয়েশ গ্রামে বসুন্ধরা সার্বিক গ্রাম
উন্নয়ন সমবায় সমিতির লিমিটেড এর নামে ইজারাকৃত একটি পুকুরের লক্ষাধিক
টাকার মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ একটি মহলের বিরুদ্ধে। অভিযোগে
বলা হয়েছে প্রতিপক্ষ জনৈক সোহরাব ও রেজাউল করিম সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে
সমিতির দখলকৃত ওই পুকুর দখল করে রাতারাতি ভরাটের পায়তারা করা হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২মাস পূর্বে সিংড়া উপজেলার আয়েশ মৌজার ৭০৯
নম্বর দাগে ১একর সরকারি খাস পুকুর ৩ বছর মেয়াদে বসুন্ধরা সার্বিক গ্রাম
উন্নয়ন সমবায় সমিতির নামে ইজারা প্রদান করেন উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা
কমিটি। তারপর থেকেই পুকুরটি দখলে নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে সমিতির সদস্যরা।
গত ২৬ জানুয়ারী সকাল ৯টায় সমিতির ইজারাকৃত পুকুর দখলে নিয়ে ভরাট করে
খেলার মাঠ তৈরি করার ঘোষণা দেন প্রতিপক্ষ আয়েশ গ্রামের সোহরাব হোসেন,
রেজাউল করিম একটি স্বার্থান্বেষী মহল। বিকেলেই এবিষয়ে উপজেলা জলমহাল
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন উক্ত
সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান। এতে প্রতিপক্ষরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে ওই
পুকুরের লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
বসুন্ধরা সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মাছ লুটের কথা স্বীকার করে জানান,
সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে একটি প্রভাবশালী মহল ওই পুকুরের শ্রেণী পরিবর্তন করে
রাতারাতি ভরাটের পায়তারা করছে। তিনি এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউএনও অফিসে
লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত সোহরাব হোসেনের (০১৭১৩-৭৩১০৬৭) মোবাইলে যোগাযোগ করেও
পাওয়া যায়নি। অন্য অভিযুক্ত রেজাউল করিম বলেন, শুনেছি এলাকার কিছু ছোট ছোট
ছেলেরা মাছ মেরেছে। তিনি মাছ লুটের সাথে জড়িত নন।
সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় জানান, মাছ লুটের কথা শুনে
সমিতি কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে
ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদেকুর রহমান জানান, মাছ লুটের বিষয়টি জানা
নেই। তবে বৃহস্পতিবার তার দপ্তরে ওই পুকুর সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ করা
হয়েছে। বিষয়টি ভূমি অফিসের সার্ভিয়ারকে সরোজমিনে গিয়ে দেখার জন্য
নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি: