এম.এ আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী :
নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের অফিস পুড়িয়ে দেয়া ও আ.লীগ নেতাকে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী
শিপন কর্তৃক হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুর ১২টায়
নোয়াখালী প্রেসক্লাবে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো. জহির
এবং আ.লীগ নেতা শাহ্ধসঢ়; আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এসময়
জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত
ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মো. জহির বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি রাতে সদর পশ্চিমাঞ্চলের
ত্রাশ-সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান শিপন দাদপুর ইউনিয়নের
খলিফারহাট বাজারস্থ তার অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগের দিন ২৬ জানুয়ারি
খলিফারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন জহিরের চাচা ও ৮নং
ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, ওই স্কুল কমিটির সদস্য মো. শাহ্ধসঢ়; আলমকে
শিপন গুলি ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু শাহ্ধসঢ়; আলম শিপনের হাত ধরে উপরে
উঠিয়ে দিলে গুলি থেকে পরিত্রাণ পায় তিনি। পরে স্কুলের মাঠে শিপন ও তার সন্ত্রাসী
বাহিনী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিস্তলের বাট দিয়ে পিটিয়ে শাহ্ধসঢ়; আলমকে
গুরতর জখম করে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শাহ্ধসঢ়; আলম বলেন, স্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
চলাকালীন শিপন বাহিনীর কতিপয় বখাটে যেমন খুঁশি তেমন সাঁজের সময় মেয়ের
ছবি তুলে এবং শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। ওই সময় কয়েক যুবক বখাটেদের বাধা দিলে
হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে যায়।
বিকালে শিপন তার বখাটেদের নিয়ে পুনরায় স্কুলে এসে হামলা চালায়। এতে
তিনিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। শাহ্ধসঢ়; আলম অভিযোগ করেন, এ ঘটনাকে
কেন্দ্র করে শিপনের সহচর ও ইয়াবাসেবি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল
হাসেম একত্রিত হয়ে উল্টো জহির মেম্বারের বিরুদ্ধে মানববন্ধ করিয়েছে। এ সময়
শিপন ও আবুল হাসেম বিদ্যালয়ের কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য
করে। জহির মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, তিনি জনপ্রিয় হওয়ায় দুই দুইবার
স্থানীয়দের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত
শিপনের অস্ত্রবাজী-সন্ত্রাসী ও মাদক বেচাকেনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে। ফলে
তার জনপ্রিয়তায় ইশ্বান্বিত হয়ে ও প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে শিপন ও তার সন্ত্রাসী
বাহিনী কয়েক দফায় জহির মেম্বারের উপর হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুর করেছে তার
বাড়ি-ঘরে। তিনি প্রশাসনিকভাবে প্রতিকার চেয়েও তেমন একটা সুফল পায়নি।
তাই বাধ্য হয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। এ
বিষয়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান শিপন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্য
জহির ও আ’লীগ নেতা শাহ আলম সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ করেছেন তা
সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। স্থানীয়দের সাথে কথা বললে আপনারা এর প্রমাণ পাবেন।