অনলাইন ডেস্কঃ
সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের বিপথগামীতা রোধ করা সম্ভব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ছেলেমেয়েদের বই পড়ার চর্চা বাড়াতে হবে। বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করে এই কথা বলেন তিনি। এ সময়, বাংলা ভাষা ভবিষ্যতে আরো বিকশিত হওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন- প্রযুক্তির উদ্ভাবনে বইপড়ায় যতোই পরিবর্তন আসুক- মুদ্রিত বইয়ের আবেদন থাকবেই।
একদিকে মায়ের ভাষা বাংলাকে রক্ষা আর এক দিকে ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে এলো ফেব্রুয়ারি- এলো ভাষার মাস। শুরু হলো বাংলা ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত অমর একুশে গ্রন্থ মেলা।
বই মেলা শুধুই বই মেলা নয়। বাঙ্গালি জাতির আবেগ সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের অন্যতম প্রতীক এই মিলনমেলাকে তাই বলা হয় প্রাণের মেলা।
বুধবার বিকেলে মাসব্যাপী এই মেলা ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন উদ্বোধন করতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন- তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নিয়মিত পাঠাভ্যাসের চর্চা বাড়াতে পারলে- রোধ করা যাবে বিপথগামীতা।
তিনি বলেন, ‘বই পড়লে বিশ্বকে জানা যাবে। আর এখন কতো সহজ সুযোগ এসে গেছে বিশ্বকে জানার। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যে আজকে বিপথে চলে যায় এই বিপথ থেকে তাদের রক্ষা করা যায় এই সাহিত্য চর্চার মধ্য দিয়ে। লেখাপড়া এবং সংস্কৃতি চর্চা যতো বেশি হবে ততো বেশি তারা ভালো পথে চলে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
এ সময়, প্রযুক্তির উন্নয়নে ইলেকট্রনিক বুক সহ নানা অনুষঙ্গের অবতারণা করে তিনি বলেন- যতো উদ্ভাবনই আসুক, মুদ্রিত বইয়ের আবেদন ফুরোবার নয়।
রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততায় আগের মতো মেলা প্রাঙ্গণে না আসতে পারার মৃদু আক্ষেপও ফুটে ওঠে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে।
‘আমার একটাই দুঃখ, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার ফলে এখন আর আগের মতো এই বইমেলায় আসতে পারি না। এটাই হচ্ছে সবথেকে দুঃখের। সবাই যখন আসে, দেখি। আমার মনটা পড়ে থাকে।’ বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, এ বছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত বিশিষ্ট লেখকদের পুরস্কৃত করেন প্রধানমন্ত্রী। ঘুরে দেখেন মেলার বেশক’টি স্টলও।