স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক নিত্যানন্দপুর গ্রামের শিশু
জুবায়ের হত্যার সাথে নিরীহ ব্যক্তিদের জড়িয়ে মামলা করার ঘটনায়
এলাকাবাসি ফুঁসে উঠেছে। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এ
ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিশু জুবায়ের হত্যার ঘটনার প্রকৃত
রহস্য উদ্ঘাটনের দাবী জানায় এলাকাবাসি। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত
বক্তব্য পাঠ করেন গ্রামবাসি পক্ষে আবু সাঈদ। এ সময় এলাকার মেম্বর
গোলাম সারোয়ার, সাবেক নিত্যানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা জিয়ার মন্ডল,
রাজু আহম্মেদ ও সুজন হুসাইনসহ শতাধীক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করা হয়, মধু সরদারের স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশি
আব্দুল বারিকের পরোকিয়ার সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে বারিকের ছেলে রাজুর
সাথে মধু সরদারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এমন কি রাজু মোবাইল করে মধু
সরদারের স্ত্রীকে হত্যারও হুমকী দিয়ে সেই সিম ভেঙ্গে ফেলে। পরের দিন আব্দুর
রহমানের বাড়ির কাছে লেবাররা গাছ কাটছিলেন।
ওই সময় মধু সরদারের স্ত্রী ছেলে জুবায়েরকে তাদের কাছে বসিয়ে রেখে
স্কুলে যান মেয়েকে আনতে। ১০ মিনিট পর এসে আর জুবায়েরকে পাননি
মধুর স্ত্রী। ছেলে হারানোর ৩ দিন পর জুবায়েরের লাশ পাওয়া যায় সাবেক
নিত্যানন্দপুর গ্রামের জালাল উদ্দীনের পুকুরে। ছেলের মৃত্যুর পর মধু সরদার
জানিয়ে আসছিলো গ্রামে তার কোন শত্রু নেই। কারো প্রতি তার সন্দেহ
নেই। মধু সরদারের এ সব বক্তব্য বেসরকারী টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয় জুবায়ের নিখোঁজ হওয়ার পর হরিণাকুন্ডু
থানায় প্রথমে জিডি ও পরে অপমৃত্যু মামলা করে মধু সরদার। এরপর সামাজিক
বিরোধের জের ধরে ঘটনার ২৭ দিন পর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে মধু।
মামলার যে ১১ জনকে আসামী করা হয়েছে তারা সবাই নিরীহ প্রকৃতির ও
মধু সরদার ও আব্দুর রহমান মেম্বরের সামাজিক প্রতিপক্ষ। ফলে সামাজিক
প্রতিপক্ষদের ঘায়েল করার জন্যই এই মিথ্যা মামলা সাজানো হয় বলে
সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে জুবায়ের হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধারে সাবেক
নিত্যানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দ আব্দুল বারিক, তার ছেলে রাজু, বারিকের স্ত্রী
আলো মতি, আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী জাহিমা খাতুন এবং রহমান মেম্বরকে
গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যার প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হবে
বলে দাবী করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয় মধু সরদারের স্ত্রীর পরোকিয়া
আড়াল করার জন্যই নিরীহ মানুষদের নামে মামলা করে হয়রানী করা হচ্ছে।