সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার মনিরামপুরে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির সময় শাহজাদপুরের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র হালিমুল হক মিরুর শর্টগানের গুলিতে গুলিবিদ্ধ দৈনিক সমকাল-এর স্থানীয় প্রতিনিধি আবদুল হাকিম মারা গেছেন।
হামলার ঘটনায় পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু, তার ছোট দুই ভাই পিন্টু ও মিন্টুসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে মেয়রের ২ ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে শাহজাদপুর উপজেলায় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। এ হরতালে সমর্থন জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে শাহজাদপুরের মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই হাফিজুল হক পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড়ে শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজয়ের সমর্থক, কলেজছাত্ররা ও মহল্লার লোকজন একযোগে বেলা তিনটার দিকে মেয়রের বাসায় হামলা চালান।
হামলাকারীদের লক্ষ্য করে মেয়র হালিমুল হক মিরু তার শর্টগান থেকে গুলি ছোড়েন বলে দাবি করেছেন। সেসময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন হাকিম, সংঘর্ষের সময় তার মাথা ও মুখে গুলি লাগে। তাকে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ তাঁকে সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছিল। পথে শুক্রবার দুপুর ১২টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে আসলে তার অবস্থার মারাক্তক অবনতি হয়। এ সময় দ্রুত সিরাজগঞ্জের হাটিকুমড়ুল এলাকার সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক হাফিজ রহমান মিলন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।