ইসি পুনর্গঠন ইস্যুতে এরই মধ্যে তিন দফা বৈঠক ও দুই দফায় ১৬জন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করেছে সার্চ কমিটি। এরই মধ্যে নিজেদের কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে তবে সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আছে এমন কাউকে দেখা যাবে না চূড়ান্ত তালিকায়। বিশিষ্ট জনদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই বাছাইয়ের মানদণ্ড ঠিক করা হয়েছে বলে দাবি সার্চ কমিটির সদস্যের।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘যদিও রাজনৈতিক দল গুলো দিয়েছে তবে তাতে অরাজনৈতিক মানুষ যথেষ্ট আছে। ভেতরে ভেতরে সবাই কোন না কোন দলের সমর্থক থাকতে পারেন কারণ সবাই ভোট দেন। কিন্তু একেবারে দলীয় পরিচয়ের লোকজন এখনে আনা ঠিক হবে না এটা সবাই বলেছে।’
সার্চ কমিটির সদস্য মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘যাদের নির্বাচন করা হবে তাদের মান দণ্ড আছে কিনা। নির্বাচন পরিচালনার মত দক্ষতা আছে কিনা। নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনারদের প্রভাব বিস্তার করা দরকার সে রকম লোক পাওয়া যাচ্ছে তারপরেও তাদের মধ্য থেকে প্রতিযোগিতা করে যাদেরকে শ্রেয় মনে করা হচ্ছে তাদের নেয়া হবে।’
সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রভাবমুক্ত হয়েই এই কমিটি কাজ করছে বলে দাবি তাদের। মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত আমরা প্রভাবিত হয়নি। আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারবো কেন তাদের নাম সুপারিশ করেছি।’ মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘উনারা সব কয়জন দক্ষ ও যোগ্য এবং সকল মানদণ্ডে উন্নীত।’
আট ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে দশ জনের চূড়ান্ত নাম জমা দেয়া হবে বলে জানান তারা।