জাকির হোসেন, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাও)থেকে :
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ভাকুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলভবন সংকটের কারনে খোলা
আকাশের নিচে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। স্কুলভবন সংকটে শিক্ষার্থীদের
ভোগান্তির শেষ নেই। তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বৃষ্টি ও কুয়াশায়
মাঠের মধ্যে ক্লাশ করছেন। গত ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ভূমিকম্পে বিদ্যালয়
গুলো ফাটল দেখা দেয়। বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনে গিয়ে ঐ শ্রেণীক্ষগুলো
পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বাইরে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দেন এলজিইডি
উপজেলা প্রকৌশলী তাজমিল খাঁন। গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়,
পীরগঞ্জ উপজেলার ভাকুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অফিস কক্ষে ফাটল
দেখা দিলে সরকারি ভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে চিঠি দেয়া হয় পরে তৃতীয়
শ্রেণীর একটি ভবনে অফিস রুম হিসাবে ব্যবহার করাতে তৃতীয় শ্রেনীর
ক্লাশ রুম না থাকায় তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাস হচ্ছে মাঠের মধ্যে খোলা
আকাশের নিচে। তৃতীয শ্রেণী পড়ুয়া শিমলা আকতার জানায়, ঝর
বৃষ্টিতে আমাদের ক্লাশ করতে অনেক কষ্ট হয়। আর এই সময়ে খোলা
আকাশের নিচে বৃষ্টির জন্য ক্লাস নিতে পারছেন না স্যাররা। পরীক্ষার
প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে না। অভিভাবক মমতাজ আলী জানান,্য়ঁড়ঃ;এভাবে কতদিন
বাচ্চারা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করবে। ্য়ঁড়ঃ;বিদ্যালয়ের আরও নতুন কক্ষ
তৈরী করা একান্ত জরুরী।কিন্তু ঠিকমতো ক্লাস না হওয়ায় ওরা পিছিয়ে
যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজা রহমান জানান, খোলা মাঠে ক্লাস
নেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ায় মনোযোগী হতে পারছে না। ভাকুড়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকশেদ আলী
বলেন,বিদ্যালয়টি ২ কক্ষ বিশিষ্ঠ ৩টি ভবন হলেও একটি ভবন পরিত্যক্ত আর
একটি কক্ষ টিন সেট যা অতি পুরাতন পাঠদানর উপযোগী না।বিদ্যালয়টি
২০১২ সালে জেলা পর্যায়ে শেষ্ঠ হয় এবং আমি ২০১৩ সালে জেলাপর্যায়ে
শেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হই।এই বিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর সমাপনী
পরীক্ষায় ৮হতে ১০ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক বৃত্তি পায় ্য়ঁড়ঃ;কিন্তু বছরের প্রায়
শুরু থেকেই স্কুলে অবকাঠামোগত ঝামেলার জন্য প্রস্তুতি ভালো হয়নি।্য়ঁড়ঃ; এ
বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম জানান,
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি স্কুলের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
অনুদান এলে মেরামত করা হবে।