স্পোর্টস ডেস্ক:
৪৫৯ রানে লক্ষ্য। কেবল কাগজে কলমে নয়, বাস্তবতার নিরিখেও কাজটা কঠিন। আর সেই পাহাড়ে চড়তে গিয়ে তামিমের মতো ব্যাটসম্যান যদি প্রথমেই পা হড়কান লক্ষ্যটা তাহলে অসম্ভবের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ভারতের দেয়া ৪৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। অশ্বিনের বলে কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানটি। আম্পায়ার অবশ্য প্রথমে আউট দেননি, কোহলি রিভিউ চাইলে আর রক্ষা পাননি তামিম।
এর আগে বাংলাদেশকে ফলোঅনে না ফেলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। সেখানে ইনিংসটা খুব বেশি দীর্ঘও করেনি স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৯ ওভার ব্যাটিং করেই ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফলে হায়দরাবাদ টেস্ট জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে দাঁড়িয়েছে ৪৫৯ রানের দুরূহ লক্ষ্য।
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই জোড়া আঘাত হেনেছিলেন তাসকিন আহমেদ। টানা দুই ওভারে আউট করেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার মুরালি বিজয় ও লোকেশ রাহুলকে। অধিনায়ক কোহলিও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। সাকিবের শিকার হয়ে ফিরেছিলেন ৩৮ রান করে। ২৮ রান করা আজিঙ্কা রাহানেও হয়েছেন সাকিবের শিকার। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। শেষ পর্যন্ত ২৯ ওভার ব্যাটিং করে ১৫৯ রান সংগ্রহের পর ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন অধিনায়ক কোহলি।
শুরু থেকেই ভারতকে অস্বস্তিতে রেখেছিলেন তাসকিন। চতুর্থ ওভারে মুরালি বিজয়কে উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এই ইনিংসে মাত্র ৭ রান করে আউট হন। পরের ওভারে লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। এবারও ক্যাচ ধরেন মুশি। ১৭ বলে ১০ রান করে আউট হন রাহুল। এরপর কোহলি-পুজারা মিলে ৬৭ রানের জুটি বাঁধেন। দলীয় ৯০ রানে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন কোহলি। ৪০ বলে ৩৮ রান করেন ভারত অধিনায়ক।