ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ) থেকে:
এক সময়ের ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলাসহ আশে পাশে এখন শস্য ভা-ার হিসেবে পরিচিত । অত্র এলাকায়
পানি সেচ প্রকল্পে চাষীদের ভাগ্য পাল্টিয়ে দিয়েছেন বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ। উপজেলার চাষিদের
বুকে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, সংকট ও সম্ভবনার মধ্যে দিয়ে বোরো রোপন দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
কৃষকেরা সরাদিনই মাঠের কাজেই সময় দিচ্ছেন এখন পুরোদমে।
বিএমডিএ’র নওগাঁ রিজিয়ন-২, পত্নীতলা জোনের সহকারী প্রকৌশলী আল মামুনুর রশিদ
জানান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ উপজেলার মোট ৪৩৮টির
মধ্যে এখন সব ক’টিই চালু রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর নজিপুর পৌর এলাকাসহ ১১টি
ইউনিয়নে এবারে ২২ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন
পর্যন্ত ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো রোপন সম্ভব হয়েছে। আউশ ধানে বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিরা
বর্তমানে রোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছেন ও এবারো লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাষিরা জানান, বিভিন্ন সঙ্কট আর সম্ভাবনার মধ্যে দিয়ে বোরো রোপন এগিয়ে চলছে। বরেন্দ্র
বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ গুলো দিয়ে অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে এবার
নিরবিছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় সেচের কোন সমস্যা হচ্ছে না। এছাড়াও আবওহাওয়া
অনুকূল থাকায় এখন পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কবলেও পড়েননি বলেও জানিয়েছেন চাষিরা। চাষিরা আরো
জানায়, কৃষি কাজে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আজ অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে চাষাবাদের জন্য
বিএমডিএ’র অবদানে আমাদের ভাগ্য বদলিয়ে দিয়েছে জীবন যাত্রা।
উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের শাশইল গ্রামের বোরো চাষি বকুল কবির, জিল্লুর রহমান, লোকমান
হোসেন, রমজান আলি, মোসলেম উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, আমাদের এ মৌসুমে পানি সেচের
এমমাত্র ভরসা হচ্ছে বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ। কারণ, এ মৌসুমে ধান চাষে সময় মত পানি পেলেই
ফলন ভাল হয়।
উপজেলার পাটিচরা গ্রামের চাষি মুমিন হোসেন ৮ বিঘা, পতœীতলা ইউপি’র পতœীতলা বাজার
এলাকার আতোয়ার হোসেন ৫বিঘা, রিপন হোসেন ১০ বিঘা, ঘোষনগর ইউপি’র খিরশিন দক্ষিণ
পাড়ার চাষি মোশাররফ হোসেন ২বিঘা বোরো চারা রোপণ শেষ করেছেন। চাষীরা জানায়, এখন
পর্যন্ত পানি সেচের কোন সমস্যা দেখা দেয়নি।