অনলাইন ডেস্কঃ
সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যাকারী মামলার প্রধান আসামি শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুসহ আটজনের রিমান্ড শুনানি আজ সোমবার।
শাহজাদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হাসিবুল হকের আদালতে সকাল ১০টায় শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
আসামিদের মধ্যে মিরুর আরো দুই ভাই আছেন। তাঁরা হলেন পাবনা জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হক মিন্টু, ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হক পিন্টু।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, পৌর মেয়র মিরুসহ অন্য আসামিদের সকালে জেলা কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় আদালতে নেওয়া হবে। আদালতে প্রাঙ্গণে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য সকাল থেকেই শাহজাদপুর কোর্ট চত্বরে র্যাব-পুলিশের সমন্বয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আদালত চত্বর ও বাইরে সার্বক্ষণিক পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে আজকে অথবা আগামীকাল তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে মেয়র মিরুর দুই ভাই অস্ত্রের মুখে হাত-পা ভেঙে দেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিজয়ের স্বজনরা মেয়রের বাসার সামনে মিছিল নিয়ে গিয়ে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় মেয়র মিরু ও তাঁর ভাই শটগান দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে কর্তব্য পালনকালে মেয়রের গুলিতে সমকালের সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল গুরুত্বর আহত হন। পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সারা দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা।
সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বাদী হয়ে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যামামলা দায়ের করেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা শ্যামলী এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মেয়র মিরুকে আটক করে। পরদিন তাঁকে সিরাজগঞ্জ আদালতে হাজিরা এবং শাহজাদপুর আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে কারাগারে পাঠানো হয়।