আর কাগজের টিকেট নয়, একটি স্মার্টকার্ড ব্যবহার করে রাজধানীর যেকোনো পরিবহনে যাতায়াত করতে পারবে যাত্রীরা। কার্ডটির নাম দেয়া হয়েছে ‘র্যাপিড পাস’। ফলে পরিবহন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও যাত্রীরা নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি এড়াতে পারবে।
বুধবার রাজধানী সোনারগাওঁ হোটেলে এ কার্ড নিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ)।
ভাড়া আদায় ব্যবস্থার সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে একটি ‘ক্লিয়ারিং হাউজ’। ভাড়া বণ্টন ও কার্ড ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলোর দেখভালোও করবে তারা।
ডিটিসিএ’র পক্ষে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন মজুমদার এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবুল কাশেম মো. শিরিন চুক্তিতে সই করেন।
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাপানের রাষ্টদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, জাইকার চিফ রিপ্রেজন্টেটিভ তাকাতোশি নিশিকাতা, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ কার্ড ব্যবহারকারীদের নগদ অর্থ বহন করে যাতায়াত করতে হবে না, যাতায়াত হবে ঝামেলামুক্ত।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মেট্রোরেল, রেল, বিআরটিসির সব রুট, বিআইডব্লউটিসি, পাবলিক পরিবহনে এ কার্ড ব্যবহার করে পরিবহন সেবা নিতে পারবেন যাত্রীরা।
রাজধানী ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা সমন্বিত ই-টিকেটিং পদ্ধতির আওতায় আনতে জাইকার কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৯ দশমিক শূন্য ৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার কারিগরী সহায়তা রয়েছে ২৮ দশমিক ৫২ কোটি টাকা এবং সরকারের ১০ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের জুনে শেষ হবে।