জিলানী আখনজী, চুনারুঘাট,উপজেলা সংবাদদাতা:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বটেরতল
থেকে গাজীপুর ইউনিয়নের সাদ্দাম বাজার রাস্তার বেহালদশা, দুর্ভোগ
চরমে, প্রতিরোধে নেই কোন উদ্যোগ। উপজেলার আহম্মদাবাদের বটেরতল
হয়ে ছয়শ্রী, বাগাডাইয়া-গঙ্কিরপাড় ভায়া সাদ্দাম বাজার প্রবেশ করা
এল, জি, ইডি রাস্তার প্রায় ৪ কিলোমিটার জন-গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি
নিয়ে এমনই মন্তব্য করেন পথচারী বৃদ্ধ আপজাল শরীফ এবং তিনি বলেন
ভাঙ্গা সড়কের ভাঙ্গার জন্য, বইয়া লামি গাড়ী থেকে, লেমে অঙ্কুর দিয়ে
লাঠি হাতে নেই। উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বটেরতল থেকে
সাদ্দাম বাজারের এটি’ই একমাত্র রাস্তা। বটেরতল হতে সাদ্দাম বাজার
রাস্তাটি দীর্ঘ এক যোগ ধরেও সংস্কার না করার কারণে যান চলাচলে
অনুপযোগী হয়েছে। তারপরও থেমে নেই যানবাহন চলাচল। জীবনের
তাগিদে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে পায়ে চালানো
রিক্সা, অটোরিক্সা, অটোবাইক-পণ্যবাহী ট্রাক-যাত্রীবাহী সি এন জি,
পিকআপ, নছীমন ও চা-বাগানের গাড়ী। এ সড়কে প্রতিনিয়ত
দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তাটি এল, জি, ইডি অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত।
এদিকে রাস্তার এহেন বেহালদশায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলছে।
এসব দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ
করছেন। অটোরিক্সা চালক রফিক মিয়া বলেন, এ রাস্তা দিয়ে চলতে আমাদের
অসুবিধা হয়। মা-বোনদেরকে নিয়ে রিক্সা চালিয়ে গেলে, তারা বলেন
আস্তে চালাও। আস্তে চালালেও ঠেকান’ত লাগবেই। এই রাস্তায় কিছুদিন
পর-পরই এক্সিডেন্ট হয়। কিন্তু রাস্তাটি কেউ মেরামতও করেন না। স্থানীয়
যুবলীগ সেক্রেটারী ও ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান শাফু বলেন, বেহালদশা
নিয়ে আমি উক্ত এড়িয়ার মেম্বার হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যানের
সাথে আলাপ করেছি, তিনি বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করতেছেন। তিনি
বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে রাস্তার যে বেহালদশা স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা ধুলা
বালুর কারণে স্কুলে যেতে চায়না। গর্ভবতী মা-বোনদের ব্যাথাকালিন
সময় গাড়ী দিয়ে হস্পিটালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই অচিরেই
যাতে এ রাস্তাটি সংস্কার হয়। প্রধান এ সড়কটি দিয়ে ২০-৩০ হাজার
লোকজন, হাজারেরও অধিক ক্ষুদ্র ও ভারী যানচলাচল করে। এই সড়কটিতে
রয়েছে ছোট-বড় প্রায় ৪-৫টি ব্রিজ। কিন্তু ব্রিজগুলোও সংস্কারের
প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকেই। এ সড়কের ব্যাপারে স্থানীয়
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন,
আমুরোড বাজার থেকে সাদ্দাম বাজার পর্যন্ত বিগত ১৫বছর পূর্বে
রাস্তাটির সংস্কার হয়েছিল কিন্তু বিগত ১৫ বছর পর থেকে জন-
গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার কাজ হয়নি। বর্তমানে এ রাস্তাটি ভঙ্গুর অবস্থায়
রয়েছে। এ রাস্তাটি দিয়ে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৩০ হাজারেরও অধিক
লোকজন যাতায়াত করে এজন্য রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন। তিনি
বলেন যদিও রাস্তাটি দেখ-বালের জন্য এল, জি, ইডি রয়েছে তারা রক্ষনা-
বেক্ষন না করাতে রোডের বেহালদশায় পরিনত হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে অনেক
সময় ইট, বালী, সিমেন্টের গাড়ী অবৈধভাবে ট্রাক দিয়ে লাকড়ী
নেওয়াসহ চা-বাগানের গাড়ী চলাচল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে
যায়। যদিও এ রাস্তাটি দিয়ে হাড়াই টন ওজনের গাড়ী যাওয়ার কথা,
সেখানে ৫-৭ টন ওজনের গাড়ী যাওয়া-আসা করে। এ জন্যেই রোড গুলো
নষ্ঠ হয়ে যায়। এলাকার মানুষ খুব কষ্ঠের স্বীকার, তিনি আশাবাদী
বাংলাদেশ সরকারের কাছে রোডটি যাথে দ্রুত পূন-সংস্কার করে মানুষের
চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়। তিনি সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা
এবং এল, জি, ইডি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, এ রোডটির
সংস্কারের জন্য হবিগঞ্জ এক্সচেঞ্জকে যদি তাগিদ দেওয়া হয়। তাহলে তারা
পূর্ণ-নির্মান করে কার্পেটিং এর মাধ্যমে গর্তগুলো বরাট করে দ্রুত
এ রাস্তাটির পূর্ণ-নির্মান করে, সে লক্ষে ব্যবস্থা নিবেন এবং জনগনের
পারাপারের ও পথ চলাচলের সুবিদা করে দেওয়ার জন্য তিনি জোরালু দাবী
জানান। এগুলোর সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।