জাকির হোসেন,পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)থেকে :
আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস মহান একুশে ফেব্রুয়ারি পালন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আর্š—জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায় এ
দিন। ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন এ দিন শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হয় শহীদ
দিবস। দেশে সরকারি ভাবে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারি
আর্ন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করার নির্দেশনা রয়েছে। আর এ
দিবস পালন মানেই শহীদ এর স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা।
কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ স্কুল কলেজে শহীদ
মিনারই নেই। উপজেলায় মোট ১৮৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,৭৮টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয়,২২টি মাদ্রাসা,১০টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে শহীদ
মিনার রয়েছে ২০-২২টি বিদ্যালয়ে। আর এ কারণে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল
দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা সহ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা। সরকারি ভাবে প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণের বরাদ্দ না থাকায় এ শহীদ মিনার নিমার্ণ
হয়নি বলে জানিয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। তবে কিছু কিছু বিদ্যালয়
অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বেশির ভাগ
বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় আর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়না।এতে ভাষা
শহিদদের স্মরণে ২১ফেব্র“য়ারি সম্পক্যে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে না।
উপজেলার সিংগালোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক উজ্জল জানান,
তার বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা
শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে পারে না। পীরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষিকা পারুল বেগম জানান,আমার মডেল স্কুলটি পীরগঞ্জের
প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এখানে কোন শহীদ মিনার নেই শহিদ মিনার
একান্ত জরুরী। তারপরেও ২১ ফেব্র“য়ারী ভাষা আন্দোলন বিষয়ে আলোচনা সভার
আয়োজন করা হয়। পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তোফাজ্জল
হোসেন বলেন, সরকারিভাবে বিদ্যালয়ের জন্য শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য
বরাদ্দ দেয়া হয় না । তাই শহীদ মিনার নির্মাণ করা যায়নি ।আর কয়েকটি
স্কুল তাদের নিজস্ব ফান্ড থেকে নির্মাণ করেছে ।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবি.এম ইফতেখারুল
ইসলাম বলেন,উপজেলার সব স্কুল কলেজ গুলোতে শহিদ মিনার নির্মান ও
উদযাপন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।